Suvendu Adhikari: এবার জনগণনা হলে দেখবেন হিন্দুরা ৬৫ শতাংশে নেমে গিয়েছে: শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের হিংসায় মৃৎশিল্পী হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের নির্মম হত্যা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

আসানসোল: পশ্চিমঙ্গ দিবস নিয়ে চাপানউতোরের অন্ত নেই। তবে ২০ জুনই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে মরিয়া বিজেপি। দিকে দিকে চলল মিছিল। সকালেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মালা দিয়ে কর্মসূচি শুরু করতে দেখা যায় পদ্ম নেতাদের। যদিও শাসকদল এই দিনে কোনওভাবেই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালনে নারাজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনেই বঙ্গীয় আইন পরিষদে (অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক আইনসভা) অখণ্ড বাংলা ভাগের বিষয়টি ওঠে। আসানসোলে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবসের’ কর্মসূচিতে গিয়ে ফের একবার ইতিহাসের পাতায় হাঁটলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উঠে এল দেশভাগের প্রসঙ্গ। ফের একবার শোনা গেল হিন্দু সঙ্কটের কথা। তাঁর সাফ কথা, আর একটুই বাকি। আর কিছু সময়ের মধ্যেই রাজ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে যাবে।
বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের কথা মনে করিয়ে শুভেন্দু বললেন, “১৯৪৭ সালে যখন দেশ ভাগ হয় তখন ওপার বাংলায় হিন্দু ছিল ৩৩ শতাংশ। একাত্তরে যখন বাংলদেশ স্বাধীন হয় তখন হিন্দু ছিল ২৩ শতাংশ। আজ বাংলাদেশে হিন্দু ৭ শতাংশ।” এরপরই রাজ্যে হিন্দুদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “ভাবছেন আসানসোল থেকে সামশেরগঞ্জ-ধুলিয়ান চারশো কিলোমিটার দূরে। মোথাবাড়ি আরও সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে! আমার কী! আমি তো ভাল আছি। ১৯৫১ সালের প্রথম জনগণনা বলছে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জনসংখ্যা ৮৫ শতাংশ, শেষ ২০১১ সালের জনগণনা বলছে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জনগণনা ৭২ শতাংশ। আর এই যে জনগণনা ২০২৭ সালে শুরু হচ্ছে তাতে দেখবেন হিন্দু জনসংখ্যা ৬৫ শতাংশে নেমে গিয়েছে। আর একটু বাকি। তারপরই ৫০ শতাংশের নিচে নেমে যাবে।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের হিংসায় মৃৎশিল্পী হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের নির্মম হত্যা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। চাপানউতোরের মধ্যে শোনা যায় তাঁরা বাম কর্মী। এদিন আসানসোলে গিয়ে সিপিএমকেও একহাত নিতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। বামেদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বললেন, “কমরেড সেলিম বললেন হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসেরা সিপিএমের লোক। অশান্তি আটকাতে গিয়ে মারা গিয়েছে। আমি ওদের বাড়িতে গেলাম। আমি বললাম আপনারা তো সিপিএম! ওদের স্ত্রীরা বললেন হ্যাঁ ভোট দিই। আমি বললাম মারল কেন? বলল হিন্দু বলে! আমি বললাম অশান্তি থামাতে গিয়েছিলেন? ওরা বললেন নানা বাবু ঘরেই ছিলাম। পশু কাটার ছুরি দিয়ে ওদের কেটে ফেললাম। আমাদের অপরাধ আমরা মূর্তি তৈরি করি, মৃৎশিল্পী। এই তো অবস্থা আজকে!”
