পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপির ভরসা ছিল, তাঁকে মুখ করে হয়ত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রটা উপনির্বাচনেও ধরে রাখতে পারবে। যদিও তা হয়নি। হারতে হয়েছে তৃণমূলের কাছে। তবে বিধায়ক হিসাবেই নিজের মাটি ধরে রাখতে মরিয়া অগ্নিমিত্রা। এবার তাঁর নতুন কর্মসূচি ‘পাড়ায় পাড়ায় দিদিভাই’। অগ্নিমিত্রা জানান, মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগ তৈরি করতেই এই উদ্যোগ। যদিও বিজেপি বিধায়কের এই কর্মসূচিকে ইতিমধ্যেই ‘টুকলি’ বলে দাবি করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় সমাধান’ থেকে ‘অনুপ্রাণিত’ হয়েই অগ্নিমিত্রার এই কর্মসূচি বলে দাবি তাদের।
এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম মানুষের কাছে আরও পৌঁছতে হবে। কর্মসূচিটা শুরু করব বলে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। আমার দলের সকলে মিলে একসঙ্গে পাড়ায় বেরিয়েছি। আমরা খুব মাইক্রো লেভেলের কাজ করার চেষ্টা করছি। নানা সমস্যা মানুষের। কারও হাঁটুর যন্ত্রণা, ডাক্তার দেখাতে পারছে না। কারও বাড়ির সামনে ড্রেন পরিষ্কার হয় না। বেশিরভাগ বাড়িতে জল নেই, কাজ নেই। কীভাবে যে সংসার চলছে আমি তো অবাক হয়ে যাই। বিধবা ভাতা, বার্ধ্যকা ভাতা পর্যন্ত পান না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সবাইকে দেওয়া হয়, কিন্তু সরকারি হাসপাতাল ছাড়া ছোটখাটো নার্সিংহোমেও এই কার্ড নেওয়া হচ্ছে না। আমরা মানুষের কাছে গিয়ে মানুষের সমস্যা জানার চেষ্টা করছি। এসডিও অফিসে আবেদনগুলো জমা করাব। বলব এদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। রেশন পাচ্ছে না, রেশন অফিসে যাব। কর্পোরেশন কাজ করছে না, কর্পোরেশনে গিয়ে অভিযোগ জানাব।”
যদিও অগ্নিমিত্রা পালের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, নকল করে চলাটা বিজেপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় সমাধান প্রকল্পকে নকল করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রার জবাব, প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পগুলি নাম বদলে তৃণমূল এ রাজ্যে চালাচ্ছে। তারা যদি এসব কথা বলে হাসি পায়। একইসঙ্গে অগ্নিমিত্রার বক্তব্য, পাড়ায় পাড়ায় দিদিভাই বলে তৃণমূলের বা রাজ্যের কোনও প্রকল্প বা কর্মসূচি নেই।