Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Saigal Hossain: সায়গল হোসেনের জামিনের আর্জি খারিজ, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত-রক্ষী

Birbhum News: গরু পাচার মামলায় গত ৯ জুন গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।

Saigal Hossain: সায়গল হোসেনের জামিনের আর্জি খারিজ, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত-রক্ষী
সায়গল হোসেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2022 | 9:40 PM

পশ্চিম বর্ধমান (আসানসোল): ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সায়গলের আইনজীবী জামিনের আর্জি জানালেও বিশেষ সিবিআই আদালত তা খারিজ করে দেয়। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে পেশ করা হবে সায়গলকে। এদিন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা আদালতে সওয়াল করেন, ১০০ দিন তাঁর মক্কেল হেফাজতে রয়েছে। তারপরও কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না? এদিন সায়গলের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করে জানান, যে কোনও শর্তে রাজি তাঁর মক্কেল।

একইসঙ্গে সায়গলের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, চার্জশিট দেওয়ার এতদিন পরও কেন তদন্ত শেষ করা গেল না? আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা এদিন বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন, এতদিন পরও চার্জশিটের কপি তাঁরা হাতে পাননি। অভিযোগ তোলেন, এভাবে দিনের পর দিন কাউকে জেলে আটকে রেখে তদন্ত করা যায় কি? সায়গলের আইনজীবীর বক্তব্য, এতদিনে এই মামলায় ট্রায়াল হয়ে যাওয়ার কথা।

অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার এদিন এজলাসে বলেন, সায়গল প্রভাবশালী। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া কখনওই নিরাপদ নয়। সায়গলকে জামিনে মুক্ত করা হলে তথ্যপ্রমাণ লোপাট কিংবা বিকৃতির সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, সিবিআই তদন্তে নেমে আরও বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করেছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী এদিন বলেন, সংশোধনাগারে থাকাকালীন সায়গলকে জেরা করেও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। এদিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে বেশ কিছু নথি জমা দেন সিবিআইয়ের ইনভেস্টিগেশন অফিসার বা আইও সুশান্ত ভট্টাচার্য।

গরু পাচার মামলায় গত ৯ জুন গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সায়গলের ১০০ কোটির সম্পত্তি রয়েছে। একজন রাজ্য পুলিশের সাধারণ কনস্টেবল হয়ে কী করে কেউ এই সম্পত্তির মালিক হতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তদন্তকারীদের মনে। সেই টাকার উৎস জানতে এবার মরিয়া ইডিও।