Kali Puja: বছরভর গ্রাম খাঁ খাঁ, কালীপুজোর রাতে ‘ভূতের গ্রামে’ ফেরেন মানুষ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 23, 2022 | 3:37 PM

Asansol: প্রতি বছর দীপান্বিতা আমাবস্যায় কালীর আরাধনা শুরু করেন। এইভাবেই অন্য এক কালীকথা জুড়ে যায় কুলটির এ গ্রামের সঙ্গে।

Kali Puja: বছরভর গ্রাম খাঁ খাঁ, কালীপুজোর রাতে ভূতের গ্রামে ফেরেন মানুষ
বেনাগ্রামে কালীপুজো।

Follow Us

আসানসোল: একটা সময় ভূতের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যান লোকজন। ফাঁকা গ্রামে ঠাঁই নেয় দুষ্কৃতীদল। বহুকাল আগের সেসব কথা। এখন আর তাদের দাপট নেই। তবে গ্রামবাসীরাও অন্যত্র বাড়িঘর করে এখন আর গ্রামমুখো হতে চান না। তবে ব্যতীক্রম হয় লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোর দিন। কোজাগরী পূর্ণিমার পর কার্তিক অমাবস্যায় ফের মুখর হয়ে ওঠে কুলটির বেনাগ্রাম (Kulti Benagram)।

কয়লা খনি এলাকা কুলটি। সেখানেই বেনাগ্রাম। ‘ওয়াগান ব্রেকার’দের উপদ্রবে একসময় ঘর ছাড়া হয়েছিল এ গ্রামের মানুষ। অভিযোগ, গাঁয়ের লোককে ভূতের ভয় দেখিয়ে ঘরছাড়া করেছিল দুস্কৃতীরা। অথচ দুস্কৃতীদের ছেড়ে যাওয়া কালী মূর্তিতে পুজো করার দায়িত্ব নিয়েছেন ঘরছাড়া গ্রামবাসী।

লক্ষ্মীপুজোর মতো কালীপুজোর দিন আবারও এক রাতে জন্য গ্রামে ফেরেন গ্রামবাসীরা। শুধু লক্ষ্মীপুজো নয়, ভূতগ্রাম বলে মুখে মুখে ফেরা বেনাগ্রামে আজও হয় কালী পুজো। একথা অনেকেরই অজানা। গ্রামের শেষ প্রান্তে জঙ্গলের মধ্যে ওয়াগেন ব্রেকারদের রেখে যাওয়া কালীমূর্তির পুজো করেন বেনাগ্রামেরই মানুষজন।

২০ বছর আগে দুষ্কৃতীরা গ্রামের প্রান্তে ডেরা বেঁধে থাকত। তারাই এখানে কালীপুজোর প্রচলন করে। মূর্তিও তারাই প্রতিষ্ঠা করেছিল। কুলটি কারখানা বন্ধের পর বাজার মন্দা হতে থাকে চোরদেরও। ওয়াগন ব্রেকাররাও বেকার হয়ে যায়। রোজগার কমতে থাকে। ফলে এলাকায় আর কী বা করত তারা। গ্রামের মানুষকে গ্রামছাড়া করে এক সময় তাদেরও লোটাকম্বল গোটাতে হয়।

কিন্তু গ্রামে কালী মূর্তি যে রাখা ছিল, তা জানতেন বেনার বাসিন্দারা। এরপরই প্রতি বছর দীপান্বিতা আমাবস্যায় কালীর আরাধনা শুরু করেন। এইভাবেই অন্য এক কালীকথা জুড়ে যায় কুলটির এ গ্রামের সঙ্গে। ২০০৫ সালে বেনা গ্রামের মানুষ এক এক করে ঘরছাড়া হয়েছিলেন।

রটে যায় গ্রামে ভূত আছে। তবে সন্দীপ মাজি, প্রদীপ মাজি, সুভাষ নাহাতারা জানান, গ্রামের মানুষের দাবি মতো রাস্তা নেই, পানীয় জল নেই, বিদ্যুৎ নেই। নেই নিরাপত্তাও। সে জন্যই এ গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল। ভূতের উপদ্রব একেবারেই বাজে কথা। কিন্তু বর্তমানে তো গ্রামের রাস্তা পাকা হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটিও বসেছে। তারপরও গ্রামের মানুষ এখনও কেন ফিরে আসেননি? সে জবাব এখনও অমিল। জানা গিয়েছে, যেহেতু নির্জন এলাকা কালীপুজো। তাই এ সময় সিভিক পুলিশ ও পুলিশ কনস্টেবল মোতায়েন থাকবে গ্রাম ঢোকার মুখে। ফলে পুলিশি প্রহরাতেই হবে কালীপুজো।

Next Article