Crime Case: বন্ধুর মাসিকে ‘ভেটকি’ বলে খ্যাপাত বাচ্চাটা, সাত বছরের ছেলের পরিণতি শুনলে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 21, 2022 | 8:41 PM

Andal: অন্ডালের মাধবপুরের সাত বছরের বালক সৌরভ বাউরি। গত ৬ জুলাই মৃত্যু হয় তার।

Crime Case: বন্ধুর মাসিকে ভেটকি বলে খ্যাপাত বাচ্চাটা, সাত বছরের ছেলের পরিণতি শুনলে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে...
সাত বছরের শিশুর ভয়ঙ্কর পরিণতি। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

পশ্চিম বর্ধমান: ভয়ঙ্কর অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। সাত বছরের এক বালককে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে পাশের বাড়ির এক তরুণীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাতে সঙ্গ দেন পরিবারের আরও তিনজন। ঘটনার ১১ দিন পর চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল অন্ডাল থানার পুলিশ। চারজনই একই পরিবারের। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর মা জানান, এই বক্তব্যের কোনও সত্যতা নেই। তাঁর মেয়েকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে।

অন্ডালের মাধবপুরের সাত বছরের বালক সৌরভ বাউরি। গত ৬ জুলাই মৃত্যু হয় তার। অভিযোগ ওঠে, পাশের বাড়ির তরুণী যশোদা বাউরি তাকে ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। এরপর ওই ছোট্ট ছেলের গায়ে মোবিল ঢেলে সারারাত জঙ্গলে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। যশোদা এই ঘটনায় পাশে পান পরিবারের তিনজনকে। এই ঘটনার চারদিন পর ১০ জুলাই বাড়ির পাশের ঝোঁপ থেকে উদ্ধার হয় সৌরভের দেহ। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে অন্ডাল থানার পুলিশ। এরপরই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তাদের হাতে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৬ তারিখ বন্ধুর বাড়িতে খেলতে যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিল সৌরভ। সেই বন্ধুরই মাসি অভিযুক্ত যশোদা বাউরি। তাকে সৌরভ ও তার বন্ধু ভেটকি বলে খ্যাপাতে থাকে বলে অভিযোগ। তাতেই সংযম হারান যশোদা। অভিযোগ, সৌরভের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন। লুটিয়ে পড়েছে সাত বছরের বালক। এরপরই জামাইবাবু উমেশ বাউরিকে সবটা জানান।

উমেশ বাউরি আবার শ্যালক রোহন বাউরি এবং শ্বশুর গণেশ বাউরিকে সবটা বলেন। অভিযোগ, এরপরই চারজন সৌরভের দেহ রান্নাঘরে লুকিয়ে রাখেন। রাতে দেহে মোবিল ঢেলে জঙ্গলে ফেলে দেন। ছোট্ট সেই দেহটি খুবলে খায় শিয়াল, কুকুর। পাঁচদিন পর জঙ্গল থেকে সৌরভের খুবলানো দেহ উদ্ধার হয়। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করার দাবি তোলে এলাকার লোকজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, যশোদা ও বাকি তিন অভিযুক্তও সেই দাবিতে সরব হন। কিন্তু পুলিশি তদন্তে ধীরে ধীরে রহস্য ফাঁস হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

যদিও যশোদার মা মমতা বাউরি বলেন, “ফাঁসিয়ে দিয়েছে। একটা ছেলেকে মেরে ফেলবে? আমাদের ঘরে কি ছেলেপুলে নেই?” আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অভিষেক গুপ্তা বলেন, “আমরা এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলি। বয়ান রেকর্ড করি। বিভ্রান্তিগুলি খুঁজে বের করি। আমরা বুধবারও উমেশ বাউরিদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। তাতে দেখলাম আগের বয়ানের সঙ্গে পার্থক্য আছে। এরপরই আসল রহস্য ফাঁস হয়।”

Next Article