আসানসোল: অনুব্রত মণ্ডলকে প্রায় দেড় ঘণ্টা জেলে জেরা সিবিআইয়ের। মঙ্গলবার আসানসোল সংশোধনাগারের আবাসিক অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে জেরা করতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। সূত্রের খবর, এই জেরায় খুব একটা খুশি নন তদন্তকারীরা। এদিন সংশোধনাগার থেকে এক আধিকারিক বেরোনোর সময় তাঁর কাছে তদন্ত নিয়ে জানতে চায় সংবাদমাধ্যম। সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, ‘উনি কি তদন্তে সহযোগিতা করলেন?’ ওই আধিকারিক বলেন, ‘না’।
গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগারে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট জেরা করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, তারা অনুব্রতর কাছ থেকে তদন্তে সহযোগিতা পাচ্ছে না। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই বিষয়টি। এরপর ফের তাঁকে আদালতে তুলে তবে কি নতুন কোনও আর্জি জানাতে পারে তারা, উঠছে সে প্রশ্নও।
আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারই আপাতত অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা। বেলা ১২টা নাগাদ এখানে এসে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। গরু পাচার মামলার আইও সুশান্ত ভট্টাচার্য-সহ চারজন আধিকারিক সংশোধনাগারের মূল গেটের সামনে এসে পৌঁছন। যদিও ভিতরে ঢোকেন একজন আধিকারিকই। বাকি তিনজন চলে যান আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর সায়গল হোসেনের কোর্টে পেশ আছে। সম্ভবত সেই সংক্রান্ত কিছু নথি নিয়ে আদালতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে জেলের ভিতর অনুব্রতর সঙ্গে জেরা করতে যান এক আধিকারিক। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, জেলের একটি সেল কক্ষে সায়গল হোসেনকে জেরা করা হয়। মিনিট ১৫ থেকে ২০ তাঁকে জেরা করে। সূত্রের খবর, সায়গলের জন্য প্রশ্নমালা সাজিয়ে নিয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর সেই সেলে ডাকা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁর জন্যও প্রশ্নমালা নির্দিষ্ট ছিল বলেই সিবিআই সূত্রে খবর।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মিলিয়ে দেখা হয় অনুব্রত ও সায়গলের বক্তব্যে কতটা সাযুজ্য রয়েছে। সূত্রের খবর, সায়গল-অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা এদিন হয়নি। তবে দু’জনকে জেরা করা হয়েছে। এরপর ১টা ১৫ নাগাদ জেরা করতে জেলের ভিতরে যাওয়া সিবিআই আধিকারিক বেরিয়ে আসেন। এরপরই তদন্তে অনুব্রতর সহযোগিতা পাচ্ছেন কি না, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি অতি সংক্ষিপ্ত জবাব দেন ‘না’। একইসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়, জেরা কি দু’জনকেই করা হয়েছে? ওই আধিকারিক ঘাড় নাড়ে সম্মতিসূচকভাবেই। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা সিবিআইয়ের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত হবে বলে সূত্রের খবর। যিনি এদিন অনুব্রতকে জেরা করেন তিনি সিবিআই আদালতের পথে বেরিয়ে যান। সেখানে মামলার আইও-সহ অন্যরাও আছেন।