Durgapur: মেয়াদ ফুরিয়েছে পুরবোর্ডের, আজ থেকে প্রশাসকমণ্ডলীর হাতে দুর্গাপুর নগর নিগম

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 06, 2022 | 12:18 PM

Paschim Burdwan News: দ্রুত ভোট করানোর দাবিতে সরব বিরোধীরা। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতেই হবে, দাবি বামেদের।

Durgapur: মেয়াদ ফুরিয়েছে পুরবোর্ডের, আজ থেকে প্রশাসকমণ্ডলীর হাতে দুর্গাপুর নগর নিগম

Follow Us

পশ্চিম বর্ধমান (দুর্গাপুর): রাজ্যের তিনটি পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষে বসানো হল প্রশাসক। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও হলদিয়া পুরসভার পাশাপাশি বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে দুর্গাপুর নগরনিগমেও। বিদায়ী মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়কে মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে পাঁচজনের প্রশাসকমণ্ডলী। সোমবারই প্রশাসক হিসাবে অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম চূড়ান্ত হয়। এদিনই বোর্ডের বাকিদের নামও প্রশাসনিক স্তরে ঘোষণা করা হয়েছে। বোর্ডে আছেন বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাছাড়া বিদায়ী তিন মেয়র পারিষদ ধর্মেন্দ্র যাদব, রাখি তিওয়ারি ও দীপঙ্কর লাহার নাম রয়েছে প্রশাসকমণ্ডলীর বোর্ডে। ৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে এই প্রশাসক বোর্ডই দুর্গাপুর নগরনিগম এলাকার পরিষেবা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় দেখবে।

প্রশাসক বসানোর বিষয়টি একেবারেই ভালভাবে নিচ্ছে না বিরোধীরা। নির্বাচনের মাধ্যমে বোর্ড গঠনের পক্ষে সওয়াল করছে তারা। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার দাবি করেছেন, প্রশাসক নয় অবিলম্বে দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন করতে হবে। পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “দুর্গাপুরের মানুষকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। গতবার ভোটের শিডিউল প্রকাশ করলেও ভোট দিতে দেয়নি। এবার ভোটের শিডিউলই প্রকাশ করছে না। আমরা বামপন্থীরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় আছি, রাস্তায় থাকব। ভোট দ্রুত করাতেই হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতেই হবে।”

যদিও প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা নামে পাঁচজন। কিন্তু কাউন্সিলররা আমাদের সঙ্গেই আছেন। ৪৩ জন কাউন্সিলর বলুন আর বরো চেয়ারম্যান বলুন, যেভাবে এতদিন ধরে চালিয়ে এসেছে বোর্ড, তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া তো কিছুই সম্ভব হবে না। আমাদের সবসময় চেষ্টা থাকবে মানুষের পরিষেবা যাতে কোনওভাবে না ব্যাহত হয়। আমরা কাগজে কলমে আছি, হয়ত সই করার অধিকার আমাদের থাকবে, কিন্তু কাজটা আমরা সকলে মিলেই করব। বোর্ড তো আমরাও চাইছিলাম। কিন্তু এমন সময় এসে আমাদের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হল, ২৫ তারিখ মহালয়া। পুজোর মরসুম। পুজোর সময় তো ভোট করা যায় না। আমাদের নেত্রী বাঙালির এই আবেগটা সবসময় মর্যাদা দেন।”

Next Article