পশ্চিম বর্ধমান: ৪০ বছর পর এই প্রথমবার জামুড়িয়ায় পালাবদল হয়েছে। এতদিন এই জামুড়িয়া বিধানসভা এলাকা ছিল সিপিএমের দখলে। একুশের বিধানসভা ভোটে প্রথমবার ফুটেছে ঘাসফুল। এদিকে তৃণমূল ক্ষমতায় আসতেই এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সোমবার তৃণমূলের এক মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। যা নিয়ে এই মুহূর্তে জোর রাজনৈতিক চাপানউতর জেলায়। রবিবারই জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিংয়ের নেতৃত্বে একটি মিছিল হয় ব্লকে। এরপর সোমবারই আরও একটি মিছিল ছিল। ব্লক তৃণমূল নেতা অশোক চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সেখানে। সেই মিছিলই পুলিশ আটকে দেয় বলে অভিযোগ। অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে এই মিছিল আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা এই উচ্চ নেতৃত্ব, তা খোলসা করেননি তিনি।
জামুড়িয়া-২ ব্লকে সোমবার তৃণমূলের মিছিল ছিল। সেই মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন অশোক চট্টোপাধ্যায়, বিজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্দীপ সিনহার মতো নেতারা। এই মিছিল জামুড়িয়া চাকদোলা মোড়ে আসতেই পুলিশ তা আটকে দেয়। পুলিশি অনুমতি ছাড়াই এই মিছিল বের করা হয় বলেই তা আটকানো হয় বলে জানানো হয়। অপর এক সূত্রের দাবি, এই মিছিল আটকানোর কারণ জামুড়িয়ার উচ্চ নেতৃত্বের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল একটা মিছিল হয়েছে। আজ আর মিছিল না করার কথা বলা হয়। এসিপি নিজে ছিলেন। তিনি অনুরোধ করেন। এসিপির মুখ থেকেই শুনলাম আমাদের যে মন্ত্রী আছেন মলয় ঘটক ও অন্যান্য উচ্চ নেতৃত্ব আমাদের সঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যে বসবেন। আমাদের যে ভুল ত্রুটি, আমাদের যে পুরনো দিনের কর্মী সকলের সঙ্গে বসবেন।”
অন্যদিকে বিধায়ক হরেরাম সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “দলের নির্দেশ ছিল একটি ব্লকে একটি মিটিং করতে হবে। ৫ তারিখ জামুড়িয়া দু’ নম্বর ব্লকে মিছিল হয়ে গিয়েছে। সোমবার এক নম্বর ব্লকে হবে। আজ কে করছে না করছে জানি না। আমাদের নয়।” তাঁর দাবি, এমনও হতে পারে বিজেপি বা সিপিএমের লোকেরা তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মিছিল করার চেষ্টা করেছিল।
বিজেপি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ দে বলেন, “তৃণমূলের মধ্যে তো দু’টো গোষ্ঠী। সকলেই জানে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লবি, অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লবি। এটা আসানসোলেও চলছে। তাই এই ঘটনা ঘটেছে।”