পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুর উপসংশোধনাগার থেকে পালালেন তিন বিচারাধীন বন্দি। এর আগেও বেশ কয়েক বছর আগে এই সংশোধনাগার থেকে ৬ জন পালিয়ে যান বলে সূত্রের খবর। ফের এই ঘটনায় এখানকার নিরাপত্তা, নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কোথায় কার গাফিলতি তাও খুঁজে বের করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি (কারা)।
রবিবার বেলা তখন প্রায় তিনটে। নিয়ম মেনে রোল কল করা হচ্ছিল বন্দিদের। অভিযোগ সে সময়ই তিনজনের নাম ডাকা হলেও তাদের সাড়া মেলে না। এরপরই শুরু হয় খোঁজ। দেখা যায় সংশোধনাগারে নেই ভুবন নিয়োগী, মহম্মদ সাহাবুদ্দিন ও নেপলা মৃধা। জানা গিয়েছে, ভুবন অন্ডালের একটি পেট্রোল পাম্পের ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হন। সাহাবুদ্দিন আসানসোলের কুলটির একটি খুনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত। নেপলা মৃধা পাণ্ডবেশ্বরের একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। তিনজনকেই দুর্গাপুরের উপসংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি তথাগত পাণ্ডে বলেন, “একটা অভিযোগ এসেছে সংশোধনাগার থেকে। তিনজন পালিয়ে গিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আমাদের তদন্ত করতে আসতেই হয়। জেলের নিয়ম আলাদা। আলাদা নিরাপত্তা, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আলাদা। এখন তদন্ত করে দেখতে হবে কী হয়েছিল। এভাবে বলা যাবে না কিছু। তদন্ত একেবারে প্রাথমিক স্তরে রয়েছে।”
অন্যদিকে বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি (কারা) শুভব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত চলছে। কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হচ্ছে। মনে হচ্ছে পাঁচিল টপকেই পালিয়েছেন তিনজন। গামছা বা এই জাতীয় কিছু ব্যবহার করে পালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। খুনের চেষ্টা, খুন, বধূ নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। কোথাও কিছু ফাঁক তো নিশ্চয়ই ছিল। না হলে এটা হবে কী করে। শোকজ করা হয়েছে। আপাতত প্রথম কাজ সংশোধনাগারের নিরাপত্তা যাতে আরও কিছুটা বাড়ানো যায়।”
তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা বাড়ানো উচিৎ ঠিকই। তবে তার জন্য তো অফিসার বাড়াতে হবে, কর্মী বাড়াতে হবে। সিসিটিভি এখানে বসানো হয়নি। এগুলো আমরা লিখিতভাবে জানাব।”