পশ্চিম বর্ধমান (দুর্গাপুর): এবার বর্ষার প্রথম থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বরাতে দুর্ভোগ। বৃষ্টি কম। মাঝেমধ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। তাতে পথঘাট কিছুটা ভেজে ঠিকই। তবে চাষের জন্য মোটেই পর্যাপ্ত নয়। সেদিকে খেয়াল রেখেই জল ছাড়তে শুরু করেছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি (DVC)। গত ২২ জুলাই সেচ দফতরের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় ডিভিসি কর্তৃপক্ষের। এরপরই জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় আমন ধানের চাষ শুরুই করতে পারেননি কৃষকরা। কপালে চিন্তার ভাঁজ। এ অবস্থায় কিছুটা আশার আলো দেখিয়ে দুর্গাপুর ব্যারাজের সেচ খালগুলিতে জল ছাড়া শুরু হয়েছে।
এ বছর এখনও অবধি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ ৫০ শতাংশ কম। আমন ধানের চাষ প্রবলভাবে সমস্যায় পড়েছে। পরিস্থিতি যে ভাল নয়, তা আগেই নবান্নের তরফে ইঙ্গিত মিলেছিল। চলতি মাসের শুরুতেই সেচ দফতর ও কৃষি দফতরকে সে কথা জানায় নবান্ন। সংশ্লিষ্ট দুই দফতরকে যথাযথ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়।
এরপরই সেচ দফতরের আধিকারিকরা ডিভিসির আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। ডিভিসির তরফে ৭০ হাজার একর ফিট জল ছাড়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। ২২ জুলাই ডিভিসি পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কাজ শুরু করে। ২৩ তারিখ শনিবার দুর্গাপুর ব্যারেজে সেই জল এসে পৌঁছয়। এরপরই রবিবার সকাল থেকে সেচখালের মাধ্যমে তা বিভিন্ন জমিতে ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে।
সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার বলেন, “বৃষ্টির পরিমাণ খুবই কমে গিয়েছে। ২২ জুলাই বর্ধমানে আমাদের একটা বৈঠক হয়, তার ভিত্তিতে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ আমাদের ৭০ হাজার একক ফিট জল দেবে বলেছে। সেই জল পাঁচদিন ছাড়া হবে। এবার প্রায় ৫০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি আছে এখনও। এখন যে জল যাবে তাতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ চাষের কাজ হবে। বৃষ্টি না হলে সমস্যা হবেই।”