100 Days Working: পুকুর চুরি! খনন না হয়েই, ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ অর্থ ‘ঢুকেছে’ বিজেপি প্রধানের অ্যাকাউন্টে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 18, 2022 | 2:41 PM

West Bengal: বস্তুত, বনচাটুল গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন দাস। তাঁর একটি পুকুর খননের কাজ ২০২০ সালে মঞ্জুর হয়।

100 Days Working: পুকুর চুরি! খনন না হয়েই, ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ অর্থ ঢুকেছে বিজেপি প্রধানের অ্যাকাউন্টে
একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের একশো দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। কাজ না করিয়েই টাকা তোলার অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির লালুয়া পঞ্চায়েতের বনচাটুল গ্রামে। যদিও, এবারের এই অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেশিয়াড়ির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

বস্তুত, বনচাটুল গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন দাস। তাঁর একটি পুকুর খননের কাজ ২০২০ সালে মঞ্জুর হয়। কিন্তু প্রায় দেড় বছর কেটে গেলেও এখনও সেই পুকুর খননের কাজ শুরু হয়নি। অথচ, মধুসূদনবাবু দেখেন তাঁর বাড়ির পুকুর খননের কাজের জন্য বরাদ্দ অর্থ একশো দিনের কর্মীর অ্যাকাউন্টে প্রায় ছ’মাস আগেই ঢুকে গিয়েছে। এরপরই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন মধুসূদনবাবু।

ইতিমধ্যেই কেশিয়াড়ির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে মধুসূদন বাবু জানিয়েছেন, ‘২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে একটি নতুন পুকুর খননের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমরা শুনছি কাগজে-কলমে কাজ হয়ে গিয়েছে। তবে নতুন যে পুকুর হবে এক ঘড়াও মাটি তোলেনি। যা টাকা এসেছিল তা জব সুপারভাইজার, ও পঞ্চায়েত প্রধানের পকেটে ঢুকেছে।’ মধুসূদন দাসের বক্তব্য, অবিলম্বে পুকুর খননের কাজ হোক। যাঁরা টাকা আত্মসাৎ করেছে তাঁরা যেন শাস্তি পান। এই বিষয়ে বিডিও, বিপ্লব দত্ত জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ জমা পড়েছে তদন্ত করে দেখা হবে।’

যদিও, এই বিষয়ে বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান বা উপপ্রধান কারোর বক্তব্য মেলেনি। একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে যোগযোগ করা হলেও তাঁরা ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি।

একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ এই প্রথম নয়, জেলায়-জেলায় সেই অভিযোগ উঠেছে। অনুমোদন দেননি জেলাশাসক। তারপরও দিব্যি কাজের ‘অনুমোদন’ মিলেছে। তার ভিত্তিতে ‘কাজ’ও হয়েছে। এবং সেজন্য টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। একশো দিনের কাজে (MGNREGA) এমনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মালদায়। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ৩০২টি প্রকল্প ভুয়ো। অভিযোগ সামনে আসার পর কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। যদিও তার মধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজ শেষও হয়ে গিয়েছে বা চলছে। টাকাও আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই টাকা কীভাবে কোন খাতে খরচ হল তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Next Article