Disabled Student: দুই হাত-পা নেই! উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী গোপাল হতে চান অধ্যাপক

Ashim Bera | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Mar 15, 2023 | 3:57 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের গোমকপোতা গ্রামের গোমকপোতা গুণধর বিদ্যালয়ের ছাত্র গোপাল ভৌমিক। জন্ম থেকেই তাঁর দুটো পা নেই, দুটো হাত নেই, কোমরের থেকে ছোট্ট আঙ্গুল সদৃশ দুটি অঙ্গ।

Disabled Student: দুই হাত-পা নেই! উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী গোপাল হতে চান অধ্যাপক
গোপাল ভৌমিক

Follow Us

দাসপুর: খাতা, বই, পেন, মাস্টারের ছড়াছড়ি থাকলেও অনেকের মন বসে না পড়াশোনায়। পড়তে আর মন চাই না তাদের। কিন্তু এক দল ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা যায়, যাঁদের জীবনে প্রতিবন্ধকতার শেষ নেই। কিন্তু সেই সমস্ত বাধা তাঁদের অদম্য ইচ্ছাতে থামাতে পারে না। শত বাধা দূর করে পড়াশোনা চালিয়ে যান তারা। স্বপ্ন দেখেন ভালো ভাবে পড়াশোনা করে চাকরি করার। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। সে রকমই এক ছাত্রের কথা সামনে এসেছে। নাম গোপাল ভৌমিক। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা তিনি। এ বছর ওই পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে বসেছেন। ১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন। গোপালের দুই হাত, দুই পা নেই। জন্ম থেকেই তিনি বিশেষভাবে সক্ষম। কিন্তু হাত-পা না থাকলেও পড়াশোনা থামেনি। প্রবল মনের জোরকে সঙ্গী করে, সমস্ত বাধা পেরিয়ে আজ তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী। আগামী দিনে অধ্যাপক হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে গোপালের।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের গোমকপোতা গ্রামের গোমকপোতা গুণধর বিদ্যালয়ের ছাত্র গোপাল ভৌমিক। জন্ম থেকেই তাঁর দুটো পা নেই, দুটো হাত নেই, কোমরের থেকে ছোট্ট আঙ্গুল সদৃশ দুটি অঙ্গ। এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা গোপালকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। কেবলমাত্র মনের জোরে সে পাহাড় ডিঙোতে চায়। মাধ্যমিকে ৪৭৯ পেয়ে ভর্তি হন একাদশ শ্রেণিতে। এবার দিচ্ছেন উচ্চ মাধ্যমিক।

গৌরা সোনামুই কেবিএ উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আসন পড়েছে গোপালের। বাড়িতে বসে নিজের পায়ের সাহায্যে বই খুলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে গোপাল। শুরু হয়েছে পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দিনের পরীক্ষা গোপালের ভালই হয়েছে। কলা বিভাগে বাংলা ইংরেজি সঙ্গে সংস্কৃত, শিক্ষাবিজ্ঞান ও ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন গোপাল। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অবশ্য অন্য জনের সাহায্য নিয়েছেন গোপাল। অন্য জন তাঁর হয়ে লিখবেন।

গোপালের বাবা সদানন্দ ভৌমিক, মা গীতাদেবী। গোপালের বাবার একটি হোসিয়ারির দোকান চালাযন। সেখান থেকেই চলে সংসার। গোপালকে নিয়ে গোপালের বাবা-মা থেকে শুরু করে শিক্ষকদেরও রয়েছে অনেক স্বপ্ন। গোপালের স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত বুড়াই বলেছেন, “গোপাল আমাদের খুব প্রিয় ছাত্র। খুব ভালো ছেলে। প্রতিবন্ধকতাকে নিয়ে মনের জোরে সমস্ত গণ্ডি পার করেছে। তাই সকলেই চাইছে গোপালের স্বপ্ন পূর্ণ হোক। আর এই মনের জোরে উচ্চমাধ্যমিকে গোপাল খুব ভালো রেজাল্ট করবে। গোপালের একাগ্রতা হার মানাবে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে।” গোপালের মা, বাবা, দিদিও তাঁর ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী।

Next Article