পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। তাতে আমন্ত্রিত ছিলেন গ্রামের অনেকে। একই সঙ্গে বসে সকলে খাওয়াদাওয়ায়ও করেন। কিন্তু তারপরই ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকেন একে একে। উপসর্গও একই রকম। বিষয়টা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয় গ্রামবাসীদের কাছেই। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার দাঁতন দু’নম্বর ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর এলাকায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়েছেন একাধিক জন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁদেরকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা খডুরুই গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রামে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন দুই চিকিৎসক। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে।
দাঁতন দুই নম্বর ব্লকের উত্তর শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে ননী গোপাল দাস নামে একজনের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান ছিল। গ্রামের মানুষদের খাওয়ার আয়োজন করা হয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, খাওয়ার পরই একে একে অসুস্থ হতে থাকেন অনেকে। কারোর পেটে ব্যথা, কারোর বমি-পায়খানা হতে থাকে। সকলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যাদের বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল, তাঁদেরও অনেকে অসুস্থ।
গ্রামের জনা পঁচিশেক ব্যক্তি এখনও পর্যন্ত অসুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে আট জন এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি। গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হচ্ছে। গ্রামে নতুন করে কেউ অসুস্থ হচ্ছেন কিনা, অসুস্থ যাঁরা, তাঁদের শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখা হচ্ছে।