মেদিনীপুর : সীমান্তে গরুপাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে বিবাদ বহুদিনের। এর সঙ্গে পূর্বেও শাসক দলের যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে বহুবার। সীমান্তে গরু পাচার মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতার দিকে অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই এর জেরার মুখে পড়তে গয়েছে একাধিক নেতাকেও। সম্প্রতি এই মামলায় সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূমের ‘কেষ্ট’ অনুব্রত মণ্ডল। এবার সীমান্তে অবৈধ কাজকর্ম নিয়ে তোপ দাগলেন সিপিএম রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি শুক্রবার বলেছেন,সীমান্তে গরু পাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ যুক্ত রয়েছে বিএসএফও।
এদিন মেদিনীপুরে একটি দলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন সিপিএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি গরু পাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তোপ দাগেন তৃণমূল ও বিজেপির উপর। অমিত শাহের তিনবিঘা সফর ঘিরে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “প্রায় আট বছর পরে বিজেপি বা আরএসএস এর কোনও নেতা অনুপ্রবেশ শব্দটা উচ্চারণ করেছেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি জানিয়েছেন যে অনুপ্রবেশ কথাটা ব্যবহার তিনি নিজের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে, অনুপ্রবেশ মানে সীমানা অতিক্রম করে আসা। সীমানা পাহাড়া দেয় বিএসএফ। তিনি বলেছেন, “বিএসএফ-র এক্সিকিউটিভ জেট নিয়ে তিনি ঘুরতে পারেন, বিএসএফ-র বিলাসবহুল লঞ্চে তিনি ঘুরতে পারেন আর তিনি বিএসএফ-কে জব্দ করতে পারেন না!”
তিনি এদিন চোরাচালানের সঙ্গে বিএসএফ যোগ টেনে এনে বলেছেন,”সীমান্তে যে সমস্ত গরুপাচার, চোরাচালান হচ্ছে, তার সঙ্গে যেমন তৃণমূল যুক্ত আছে। সেরকম বিজেপিও যুক্ত আছে। এখানকার মন্ত্রীরা যেরকম যুক্ত আছেন সেরকম এর আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবারও যুক্ত রয়েছে। এসবের সঙ্গে বিএসএফ যুক্ত আছে।” চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঘিরে তৃণমূল-বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, “চোরাচালান থেকে অনুপ্রবেশ যা ঘটছে দিল্লি, আহমেদাবাদ ও মুম্বইতে বসে হচ্ছে। কলকাতার কালীঘাটে বসে তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর এই জায়গাগুলোতেই সব টাকা জড়ো হয়, ভাগবাটোয়ারা করা হয়। এই পাচার ইস্যুতেই রাজনাথ-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল। এখানেই বিজেপি-তৃণমূলের সেটিং।”