মেদিনীপুর: শিশুর রহস্যমৃত্যুতে ফুঁসছে মেদিনীপুরের বেনারডিহি। বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল আট বছরের এক শিশু। শনিবার কাঁসাই নদী সংলগ্ন একটি মাঠের গর্ত থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। খুনের অভিযোগ এনে মৃতের দাদার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এলাকার লোকজন। আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, শনিবার যেখানে মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেখানে আগেও তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছিল। কিন্তু মৃতদেহ সেখানে ছিল না। এলাকার লোকজনের অনুমান, স্থানীয় কোনও বাড়িতে মৃতদেহ ছিল। একদিন রেখে তারপর মাটির নীচে ফেলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে বেনারডিহি গ্রামের আট বছরের শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। বহু খুঁজেও তাকে পায়নি পরিবার। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগও জানায় তারা। শনিবার সকাল পর্যন্তও পাগলের মতো খুঁজেছে বাড়ির লোকেরা। অথচ এদিন দুপুরেই স্থানীয় কাঁসাই নদী সংলগ্ন মাঠে একটি গর্ত থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। নদীর ধারে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ এসে হাজির হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দেহে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় শিশুর সৎ দাদাকে আটক করা হয়েছে। ওই শিশুর মায়ের কথায়, তাঁদের বারবার হুমকি দিত। মারধরও করে ওই ছেলে। এমনকী সৎ ভাইকে মারার হুমকিও দিয়েছিল।