ঘাটাল: নির্বাচন পর্ব মিটেছে অনেক দিন হল। তবে এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠছে। সিপিআইএমের বুথ এজেন্টের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়বাগ গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সঞ্জয় করণ।
সোমবারের সাত সকালে পাট জমির মধ্যে সঞ্জয়ের দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান এলাকার মানুষ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঘাটাল থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের বাড়ি জয়বাগ গ্রামেই। পরিবারের অভিযোগ, সঞ্জয়কে খুন করা হয়েছে। এবার নির্বাচনে মৃত সঞ্জয় বাম প্রার্থী সুব্রত করণের এজেন্ট ছিলেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে সঞ্জয়কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। এরপর থানাতেও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, পুলিশের তরফ থেকেও বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করা হয়। বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সোমবার সকালে গ্রামের ধারে পাট খেতের মধ্যে সঞ্জয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে। তবে মৃতের পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই খুন। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতের দাদার দাবি, “ওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কাঠের কাজ করে। আমি পার্টি অফিস থেকে খোঁজ করে বের হই। আশপাশের এলাকাও ঘুরে দেখি। সিপিএম প্রার্থীর এজেন্ট ছিল ও। আমার মনে হচ্ছে, সেই কারণেই খুন।” তবে কারা এই ঘটনায় জড়িত থাকত পারে, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা।
ঘাটাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, “আমিও শুনলাম। নিখোঁজ ছিল। পুলিশকে বলব যাতে সঠিক তদন্ত হোক। যে জড়িত, তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই রাজ্যে এক রাতে দুটি খুনের অভিযোগ ওঠে। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় নির্দল প্রার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ভোট মিটলেও রাজ্যে পরপর এই খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনও।