পশ্চিম মেদিনীপুর: আধার জটে চরম সমস্যায় বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ। দরিদ্র হয়েও সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। প্রশাসনের সাহায্য প্রত্যাশা করছেন তাঁরা। রয়েছে ভোটার কার্ড, দিচ্ছেন ভোট। আধার কার্ড না হওয়ার জন্যই সরকারি সমস্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের পরামানিক পাটি গ্রামের বাসিন্দা বাদল পাখিরা। বাদলের পরিবার সূত্রে খবর, ছোট্টবেলায় লেদে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় অকেজো হয়ে যায় বাদলের দুইটি হাতের আঙুল। যার ফলে রেশন পরিষেবা-সহ অন্যান্য সরকারি সুবিধে থেকে বঞ্চিত বাদল কারণ এখন সবই লাগে আধার। ভোটার কার্ড বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সার্টিফিকেট থেকেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে মিলেছে শুধু আশ্বাস। কিন্তু আধারের সমস্যা সমাধান করতে পারেনি কেউই।
শুধু বাদল নন, ঘাটালের দাসপুর এক নম্বর ব্লকের হরিরামপুরের বাসিন্দা সুখদেব মজুমদারের আধার না থাকার কারণে আধারের বায়োমেট্রিক হয়নি, তাই তিনি বঞ্চিত একাধিক সরকারি পরিষেবা থেকে, দরিদ্র বৃদ্ধ হয়েও মেলেনি বার্ধক্য ভাতা। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে সুকদেবের রেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
বাদল, সুখদেবই নয় বহু মানুষ রয়েছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে আধার কার্ড না করতে পারায় সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। যেমন দুর্ঘটনায় হাতের আঙ্গুল খুইয়েছিলেন এক শ্রমিক। আঙুল নেই, তাই বায়োমেট্রিকে ছাপ হয় না। তাই আধার কার্ড হয়নি। তাই সরকারি সুযোগ সুবিধা সব কিছু থেকে বঞ্চিত। হাতের আঙ্গুলে সমস্যা থাকা বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্নরাও সরকারি নিয়মের জাঁতাকলে পড়ছেন। এই সমস্ত মানুষ সরকারি পরিষেবার না পাওয়ার কারণে বছরের পর বছর ধরে পরিবারগুলি পড়েছেন মহা সমস্যায় ।
যদিও কেন্দ্রের এই আধারনীতির ফলে বহু সাধারণ মানুষ বঞ্চিত আর তাঁদের জন্য আন্দোলন করছে সিপিআইএম। এমনই দাবি করেন ঘাটালে এসে বামনেত্রী মিনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। তবে আধার কার্ড না থাকায় এলাকায় বহু বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ যে সমস্যায় পড়েছেন, তা স্বীকার করলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস।