পশ্চিম মেদিনীপুর: এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের আমলাশুলি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গড়বেতা ব্লকের গোয়ালতোড় থানার অন্তর্গত কান্তড় এলাকা। শনিবার রাতে বিজেপি করার অপরাধে দীপক নারায়ণ চক্রবর্তী নামে এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। আহত অবস্থায় তাঁকে রাতেই ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পেশায় ঠেলাচালক ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, এর আগে একাধিকবার তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন অভিযুক্তরা। মূলত তিনি বিজেপি করেন বলেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, শনিবার রাতে তিনি যখন কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মী তাঁর পথ আটকান। তাঁর সঙ্গে বচসা হয়। তারপরই মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই বিজেপির ওপর আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপি জেলা সহ সভাপতি অরূপ দায়ের অভিযোগ, “তৃণমূল দুর্নীতিতে দুষ্ট। যেভাবে দুর্নীতির পর্দাফাঁস হচ্ছে, তাতে তৃণমূল বুঝে গিয়ছে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা আর জিততে পারবে না। হার নিশ্চিত বুঝেই এভাবে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে।”
যদিও ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যোগের কথা মানতে চাননি জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা। তাঁর দাবি, “এটি সম্পূর্ণ এলাকার দুই মদ্যপের মধ্যে গণ্ডগোল। এর সঙ্গে শাসকদলের কোনও যোগ নেই। ব্যক্তিগত কোনও ঝামেলাকেও ওরা রাজনীতির রঙ দিচ্ছে।” তবে একধাপ এগিয়ে তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতি নিশানা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেন,”তৃণমূল নেতাদের বুকে পা তুলে দেব- দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের জেরেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের।” উল্লেখ্য, শুক্রবার নারায়ণগড়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এহেন মন্তব্য করেছে দিলীপ ঘোষ। তাঁকে দেখে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক গো ব্যাক স্লোগান দেন। তার পাল্টা দিতেই এই মন্তব্য় করেন দিলীপ।