দাসপুর: লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক মহিলার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, লোন পাইয়ে দেবেন বলে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান চন্দন চক্রবর্তী নামে যুবক। সোমবার বাড়িতে ফিরতেই খবর পৌঁছয় পাওনাদারদের কাছে। এরপরই তাঁকে বাড়িতে আটকে রেখে দাসপুর থানায় ছোটেন মহিলারা। দাসপুরের খুকুড়দহ এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, বেছে বেছে ঘরের মহিলাদেরই টার্গেট করেছিলেন ওই যুবক।
চন্দনকে টাকা দিয়েছিলেন সাবিত্রী চক্রবর্তী নামে এক মহিলা। তিনি বলেন, “আমি প্রথমে ১৫ হাজার টাকা দিলাম। পরে আরও ৪০ হাজার দিই। আবার একজনের কাছ থেকে আবার ২০ হাজার টাকা দিলাম। মোট ৮৫ হাজার টাকা নিল নিধি ব্যাঙ্কে লোন করে দেবে বলে। আমাদের এলাকায় ৪ জনের কাছ থেকে চন্দন টাকা নিয়েছে। খুকুরদহের বাসিন্দা ওরা।”
অন্যদিকে সুজাতা আচার্য নামে আরেক প্রতারিতরও দাবি, “একদিন আমার বাড়িতে গিয়ে বলে লোন নেওয়ার কথা। বলেছিল বিগ লোন করে দেবে। ১ হাজার টাকা দিলে ৪ হাজার টাকা দেবে বলেছিল। ২৫ দিলে ১ লক্ষ হবে। আমাকে বলল কারও থেকে তুমি সুদে টাকাটা নিয়ে নিয়ে আমাকে দাও। তাহলে লোনটা করে দেব। এরপর আমার থেকে ১ লক্ষ টাকা নেয়। বলেছিল, ১৫ দিনের মধ্যে লোন হয়ে যাবে, কিন্তু তিনমাস হয়ে গেলেও তা আর হল না।”
এরপরই পুলিশ চন্দনকে আটক করে। চন্দন স্বীকারও করেন তিনি টাকা নিয়েছেন। জানান, ৪ লক্ষ টাকা তুলেছেন তিনি। কিন্তু তিনি কীভাবে লোন করিয়ে দেবেন? সে প্রশ্নে নীরবই থেকেছেন চন্দন। শুধু জানান, লোন কারও হয়নি।