মেদিনীপুর: ঘরে স্ত্রী, এক ছেলে রয়েছে। অভিযোগ, তারপরও পরকীয়ায় লিপ্ত হন ডেবরার ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তাও আবার অন্য একজনের বউয়ের সঙ্গে। এরপরই এলাকায় অশান্তি। তার জেরে ওই যুগলকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসী। ডেবরা ব্লকের বেনিয়া এলাকার এই ঘটনা। ডেবরাতেই বাড়ি ওই সিভিক কর্মীর। অভিযোগ, স্ত্রীকে লুকিয়ে ডেবরারই আরেক গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওই যুবক। এলাকায় এ নিয়ে চর্চা চলছিলই।
এরইমধ্যে সোমবার দুপুরে প্রেমিকাকে দেখেন যুবকের পাড়ার কয়েকজন। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এরপরই ওই যুবককে প্রেমিকা ফোন করে সবটা জানান। প্রেমিকার ‘হেনস্থা’ সহ্য করতে পারেননি প্রেমিক যুবক। বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা এসে হাজির হন ঘটনাস্থলে। অভিযোগ, এসেই সবাইকে শাসাতে থাকেন। এমনকী প্রেমিকার উস্কানিকে এক মহিলার গায়ে হাতও তোলেন।
এরপরই শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। গোটা গ্রাম যেন ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলে। যুগলকে আটকে বেদম মার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডেবরা থানার পুলিশ। তারাই যুগলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রেমিকার পাড়ার লোকজনের কথায়, তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত একাধিক যুবক আসেন। অভিযুক্ত সিভিক কর্মীকেও প্রায়ই দেখা যায়। এলাকার লোকজনের দাবি, পাড়ায় কেউ প্রতিবাদ করলে পুলিশে কাজ করে বলে ভয় দেখান।