ঘাটাল: গ্রামে চোলাই মদের রমরমা চলে। বারবার বলেও কোনওভাবেই তা রোখা যায়নি। প্রতিবাদে এবার থানায় ছুটলেন মহিলারা। তাঁদের দাবি, গ্রামে চোলাই মদের অবৈধ কারবার পুলিশকে বন্ধ করতেই হবে। আবগারি দফতর ও থানা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। মেদিনীপুরের দাসপুরের রাধাকান্তপুর, খাড় রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের ঘটনা।
অভিযোগ, এই দুই গ্রামে চোলাই মদের ব্যবসার রমরমা। অবৈধভাবে এই ব্যবসা চালানো হয়। আর তার জেরে বিপাকে পড়তে হয় গ্রামের পরিবারগুলি। একে তো এলাকায় সবসময় একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি হয়ে থাকে। তারমধ্যে আবার ঘরের পুরুষ মানুষেরা সুযোগ পেলেই সেইসব দোকানের পথে হাঁটা লাগান। কষ্ট করে আয় করা টাকা এভাবে নষ্ট করা! এ নিয়ে সংসারেও ঝামেলা লেগে থাকে নিয়মিত।
সোমবার দুপুরে হঠাৎই দাসপুর থানায় একদল মহিলা গিয়ে হাজির হন। গ্রামে অবাধে চোলাই মদ বিক্রি হচ্ছে বলে পুলিশকে জানান তাঁরা। পরিবেশ, সমাজ তো নষ্ট হচ্ছে তাতেই। তাঁরা দাবি জানান, এই চোলাই কারবারিদের উচ্ছেদ করতে হবে।
মৌসুমি হাজরা নামে স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “এখানে চোলাই মদ বিক্রি করছে। নোংরামো হচ্ছে। না করেছিলাম তাও শোনেনি। উল্টে পুলিশকে জানানোয় গালাগাল করছিল। অশ্লীল ভাষা বলছিল। তাই থানায় গিয়ে বসেছিলাম। বলেছি পুলিশ ব্য়বস্থা নিক।” এরপরই ঘটনাস্থলে যায় দাসপুর থানার পুলিশ ও আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। দুই গ্রামে হানা দিয়ে প্রায় ৭০ লিটার চোলাই মদ, ৩৪০ লিটার মদ তৈরির সরঞ্জাম নষ্ট করে পুলিশ। সতর্কও করে এসেছে পুলিশ। আবারও যদি গ্রামে এভাবে চোলাই বিক্রি হয়, আরও কঠোর হবে তারা।