খড়গপুর : রাজ্যের একাধিক জায়গায় পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে, তখনই উল্টো ছবি দেখা গেল খড়গপুরে। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে হাজির হলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি তথা খড়গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার দুপুরে খড়গপুরে দেখা গেল সেই সৌজন্যের ছবি। পুরসভার প্রশাসক তথা প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে এ দিন যান খড়গপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন প্রদীপ সরকারের মা। এ দিন ছিল তাঁর বাড়িতে নিয়মভঙ্গের অনুষ্ঠান। রাজ্য সরকারের করোনা বিধি লাগু হওয়ায় এ দিন অনুষ্ঠানের আয়োজন বাতিল করেন প্রদীপ সরকার। হাতে গোনা কিছু নিমন্ত্রিতদের জন্য শহরের একটি লজে দুপুরে আহারের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। পরে সোমবার দুপুরে একটি ভিডিয়ো বার্তায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রদীপ বাবু জানান, সরকারের নির্দেশ মেনে তাঁর মায়ের পারলৌকিক অনুষ্ঠানের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
তবে জানা গিয়েছে, ওই আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। কিন্তু এ দিন দুপুরেই আচমকাই হাজির হতে দেখা যায় সাংসদকে। প্রদীপ সরকারের মায়ের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে দিলীপ ঘোষই যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রদীপ বাবুর বাড়িতে হাজির হন তিনি। প্রাক্তন বিধায়ককে বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে আসেন দিলীপ। একে অপরকে আলিঙ্গন করেন ও অনুষ্ঠানে গিয়ে মিষ্টিমুখও করে আসেন দিলীপ ঘোষ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘আমি খড়গপুরে আছি। জানতে পারলাম প্রদীপ সরকারের মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান রয়েছে। তাই সমবেদনা জানাতে এসেছি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। তবে আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি, তাই সৌজন্যটাই আসল।’
এ দিকে প্রদীপ সরকার বলেন, ‘খড়গপুর শহর রাজনীতির সৌজন্য দেখে এসেছে বারে বারে। খড়গপুরের বিধায়ক জ্ঞান সোহম পাল যখন মারা গিয়েছিলেন তখনও দলমত নির্বিশেষে সকলেই গিয়েছিলেন। তাঁকে সম্মান জানানোর ব্যবস্থাও করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এটা খড়গপুরের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। খড়গপুরে এই রাজনৈতিক সৌজন্য আগামিদিনেও বজায় থাকবে বলেই আশা করছেন দুই নেতা।’
আরও পড়ুন : PM Modi in Manipur: ‘২০১৪-র পরে দিল্লিই এসেছে মণিপুরের দুয়ারে’, এক মুহূর্তও নষ্ট না করার বার্তা নমোর