Dilip Ghosh On TMC: ‘তৃণমূলে একটাই পদ, বাকি সব আপদ…পিসি-ভাইপোর মধ্যে এখন যুদ্ধ!’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Feb 13, 2022 | 9:16 AM

TMC Clash: শনিবার কালীঘাটের বৈঠকের পর যখন জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণা হয়, তখন দেখা যায়, কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন পদে আসীন। মোট ২০ জনের সমষ্টিতে কর্মসমিতি গঠিত হলেও চেয়ারপার্সন ছাড়া আর কোনও পদের কথা বলা হয়নি।

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরে যে ‘মুষলপর্ব’ শুরু হয়েছে তার প্রভাব পড়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে একেবারে তৃণমূলীয় স্তরের মধ্যে। নতুন জাতীয় কর্মসমিতির তালিকা ঘোষণাও করা হয়েছে শনিবারই। সেই সমিতিতে একটিই পদ। চেয়ারপার্সন। সেই পদে আসীন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর কোনও পদ আলাদা করে নির্ধারিত হয়নি। যা নিয়ে বিতর্ক থামছে না। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে এ হেন ‘মতবিরোধ’ ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। বিরোধীরা তো দাবিই করেছেন, তৃণমূল এখন আড়াআড়িভাবে দুটি শিবিরে বিভক্ত। একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্য়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবির। এ বার, তৃণমূলকে ‘প্রপার্টি’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

দিলীপের কথায়, “তৃণমূলে আসলে একটাই পদ, বাকি সব আপদ। ওটা পার্টি না প্রপার্টি। উপর থেকে নীচ অবধি সব করাপ্টেড। সকলের মধ্যে ঝামেলা লেগে গিয়েছে। নেহাত পুলিশের ভয়ে বা টাকা কামানোর জন্য দলটায় রয়ে গিয়েছে। আর কোনও কারণ নেই। পিসি-ভাইপোর মধ্যেও তো ঝামেলা! এ বার, যদুবংশ ধ্বংসের মতো দলটাও ধসে পড়বে!”

শনিবার কালীঘাটের বৈঠকের পর যখন জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণা হয়, তখন দেখা যায়, কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন পদে আসীন। মোট ২০ জনের সমষ্টিতে কর্মসমিতি গঠিত হলেও চেয়ারপার্সন ছাড়া আর কোনও পদের কথা বলা হয়নি। শনিবার কালীঘাটের বৈঠকের পর যখন জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণা হয়, তখন দেখা যায়, কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন পদে আসীন। মোট ২০ জনের সমষ্টিতে কর্মসমিতি গঠিত হলেও চেয়ারপার্সন ছাড়া আর কোনও পদের কথা বলা হয়নি। সব পদের আপাতত অবলুপ্তি ঘটানোর ফলে অভিষেক এখন আর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকছেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীদের মতো তিনিও জাতীয় কর্মসমিতির বাকিদের মতোই একজন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

কারণ, জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে যেভাবে তৃণমূল ক্ষমতা বিস্তারের চেষ্টা করছে তাতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ হল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি। সেই পদের অবলুপ্তির কারণ নিয়ে যারপরনাই প্রশ্ন উঠছে। আরও স্পষ্ট হচ্ছে দলের অন্দরের ফাটলও। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সমস্ত পদ অবলুপ্ত করে কার্যত দলের রাশ  নিজের হাতে রাখলেন মমতা।

বস্তুত, অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রকাশের পর থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন অভিষক কার্যত তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধাচারণ করছেন। সেই শুরু। যত দিন গিয়েছে, তত মমতা বনাম অভিষকের ছবিটিকেই মান্যতা দিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, “তৃণমূলের অবস্থা এখন শাশুড়ি বৌমার ঝগড়ার মতো। তৃণমূলে এখন দুটো দিক। একদিকে মমতা, একদিকে অভিষেক।” কার্যত একই সুর তুলেছে কংগ্রেসও।

দলের অন্দরে এমন কোনও বিরোধ নেই, এই বিষয়টিই কার্যত প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। এরই মাঝে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কৃষ্ণ আর অভিষেক অর্জুন এমনই ‘মহাভারত’ তত্ত্ব সামনে আনেন মদন। সব মিলিয়ে কার্যত আরও প্রকট হয়ে ওঠে দলের অন্দরের কোন্দল।

পরবর্তীতে, পুরভোটকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে যেভাবে শীর্ষ নেতৃত্বদের  মধ্যেই বিরোধ শুরু হয়, তাতে কার্যত আরও স্পষ্ট হয়ে যায় যে দলের অন্দরে সবকিছু ঠিক নেই। এরইমধ্যে তৃণমূল ও আইপ্যাকের সম্পর্কে যে ‘চিড়’ ধরেছে তাও প্রকাশ্যে চলে আসে। কানাঘুষো শোনা যায়, এই আইপ্যাককে তৃণমূলের দায়িত্বে নিয়ে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, আইপ্যাকের কথা মতোই তৃণমূলের বিস্তারের নীলনকশা তৈরি করছিলেন অভিষেক। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে শক্তি বিস্তারের কৌশল কী হওয়া উচিত – তা ঠিক করে দিচ্ছিল আইপ্যাকই। কিন্তু সাম্প্রতিক ছবিতে স্পষ্ট সেই ‘সম্পর্ক’  এখন তলানিতে।

এখানেই শেষ নয়, কিছুদিন আগেই, খোদ তৃণমূল নেত্রী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, গোষ্ঠী কোন্দল যেন না হয়। দল, দলের প্রতীক দেখে যেন কাজ করেন সকলে। কিন্তু তাও বিরোধ থামছে কই! সদ্যই তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো তথা অভিষেকের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, তাতে লেখা, ‘তৃণমূলের তরফে আমি এক ব্যক্তি এক পদ নীতিকে সমর্থন করি।’  তার পাল্টা শুরু হয়, ‘যা বলার দিদিকে বলো’। ফলে,  আরও প্রকট হয় দলের মধ্যের বিরোধ। শনিবারের বৈঠকের পর এই সংঘাত আরও গভীরে শিকড় বিস্তার করতে পারে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

পশ্চিম মেদিনীপুর: সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরে যে ‘মুষলপর্ব’ শুরু হয়েছে তার প্রভাব পড়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে একেবারে তৃণমূলীয় স্তরের মধ্যে। নতুন জাতীয় কর্মসমিতির তালিকা ঘোষণাও করা হয়েছে শনিবারই। সেই সমিতিতে একটিই পদ। চেয়ারপার্সন। সেই পদে আসীন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর কোনও পদ আলাদা করে নির্ধারিত হয়নি। যা নিয়ে বিতর্ক থামছে না। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে এ হেন ‘মতবিরোধ’ ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। বিরোধীরা তো দাবিই করেছেন, তৃণমূল এখন আড়াআড়িভাবে দুটি শিবিরে বিভক্ত। একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্য়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবির। এ বার, তৃণমূলকে ‘প্রপার্টি’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

দিলীপের কথায়, “তৃণমূলে আসলে একটাই পদ, বাকি সব আপদ। ওটা পার্টি না প্রপার্টি। উপর থেকে নীচ অবধি সব করাপ্টেড। সকলের মধ্যে ঝামেলা লেগে গিয়েছে। নেহাত পুলিশের ভয়ে বা টাকা কামানোর জন্য দলটায় রয়ে গিয়েছে। আর কোনও কারণ নেই। পিসি-ভাইপোর মধ্যেও তো ঝামেলা! এ বার, যদুবংশ ধ্বংসের মতো দলটাও ধসে পড়বে!”

শনিবার কালীঘাটের বৈঠকের পর যখন জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণা হয়, তখন দেখা যায়, কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন পদে আসীন। মোট ২০ জনের সমষ্টিতে কর্মসমিতি গঠিত হলেও চেয়ারপার্সন ছাড়া আর কোনও পদের কথা বলা হয়নি। শনিবার কালীঘাটের বৈঠকের পর যখন জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণা হয়, তখন দেখা যায়, কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন পদে আসীন। মোট ২০ জনের সমষ্টিতে কর্মসমিতি গঠিত হলেও চেয়ারপার্সন ছাড়া আর কোনও পদের কথা বলা হয়নি। সব পদের আপাতত অবলুপ্তি ঘটানোর ফলে অভিষেক এখন আর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকছেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীদের মতো তিনিও জাতীয় কর্মসমিতির বাকিদের মতোই একজন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

কারণ, জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে যেভাবে তৃণমূল ক্ষমতা বিস্তারের চেষ্টা করছে তাতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ হল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি। সেই পদের অবলুপ্তির কারণ নিয়ে যারপরনাই প্রশ্ন উঠছে। আরও স্পষ্ট হচ্ছে দলের অন্দরের ফাটলও। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সমস্ত পদ অবলুপ্ত করে কার্যত দলের রাশ  নিজের হাতে রাখলেন মমতা।

বস্তুত, অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রকাশের পর থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন অভিষক কার্যত তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধাচারণ করছেন। সেই শুরু। যত দিন গিয়েছে, তত মমতা বনাম অভিষকের ছবিটিকেই মান্যতা দিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, “তৃণমূলের অবস্থা এখন শাশুড়ি বৌমার ঝগড়ার মতো। তৃণমূলে এখন দুটো দিক। একদিকে মমতা, একদিকে অভিষেক।” কার্যত একই সুর তুলেছে কংগ্রেসও।

দলের অন্দরে এমন কোনও বিরোধ নেই, এই বিষয়টিই কার্যত প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। এরই মাঝে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কৃষ্ণ আর অভিষেক অর্জুন এমনই ‘মহাভারত’ তত্ত্ব সামনে আনেন মদন। সব মিলিয়ে কার্যত আরও প্রকট হয়ে ওঠে দলের অন্দরের কোন্দল।

পরবর্তীতে, পুরভোটকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে যেভাবে শীর্ষ নেতৃত্বদের  মধ্যেই বিরোধ শুরু হয়, তাতে কার্যত আরও স্পষ্ট হয়ে যায় যে দলের অন্দরে সবকিছু ঠিক নেই। এরইমধ্যে তৃণমূল ও আইপ্যাকের সম্পর্কে যে ‘চিড়’ ধরেছে তাও প্রকাশ্যে চলে আসে। কানাঘুষো শোনা যায়, এই আইপ্যাককে তৃণমূলের দায়িত্বে নিয়ে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, আইপ্যাকের কথা মতোই তৃণমূলের বিস্তারের নীলনকশা তৈরি করছিলেন অভিষেক। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে শক্তি বিস্তারের কৌশল কী হওয়া উচিত – তা ঠিক করে দিচ্ছিল আইপ্যাকই। কিন্তু সাম্প্রতিক ছবিতে স্পষ্ট সেই ‘সম্পর্ক’  এখন তলানিতে।

এখানেই শেষ নয়, কিছুদিন আগেই, খোদ তৃণমূল নেত্রী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, গোষ্ঠী কোন্দল যেন না হয়। দল, দলের প্রতীক দেখে যেন কাজ করেন সকলে। কিন্তু তাও বিরোধ থামছে কই! সদ্যই তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো তথা অভিষেকের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, তাতে লেখা, ‘তৃণমূলের তরফে আমি এক ব্যক্তি এক পদ নীতিকে সমর্থন করি।’  তার পাল্টা শুরু হয়, ‘যা বলার দিদিকে বলো’। ফলে,  আরও প্রকট হয় দলের মধ্যের বিরোধ। শনিবারের বৈঠকের পর এই সংঘাত আরও গভীরে শিকড় বিস্তার করতে পারে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article