খড়গপুর: ২০২৪ সালের লোকসভা (Loksabha Election 2024) নির্বাচনের আগে দেড় বছরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শুরু হয়েছে রোডগার মেলা কর্মসূচি। এরইমধ্যে শনিবার খড়গপুর সিস্টেম টেকনিক্যাল স্কুলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রেল, আইআইটি, ডাকঘর সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ২২২ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। খড়গপুর সদরের বিজেপির বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। খড়গপুরের ডি.আর.এম. হাশমি ও আইআইটি ডেপুটি ডিরেক্টর অমিত পাত্র সহ অন্যান্যরা।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকেই দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “৭৫ বছর স্বাধীনতা উপলক্ষে ৭৫ হাজার আর চাকরি দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম বাংলার দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে চাকরির জন্য হাহাকার। চাকরি চাইতে গেলে লাঠি খেতে হচ্ছে, জেলে যেতে হচ্ছে। পশ্চিম বাংলার সবকিছুই ভুয়ো। ডাক্তার ভুয়ো, ভ্যাকসিন ভুয়ো, নিয়োগ পত্র ভুয়ো। কত রকম ধোঁকা হচ্ছে যুবক যুবতীদের সঙ্গে। তবে দেরিতে হলেও বিদ্বজ্জনদের যে বোধোদয় হয়েছে এটাই ভাল।” একইসঙ্গে বাংলায় নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের তুলোধধনা করেন সুকান্ত মজুমদারও।
সুকান্ত বলেন, “১০-১২ বছর অন্তর পশ্চিমবঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিক্ষেত্রেই দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হচ্ছে। স্বজনপোষণ, দুর্নীতি রুখতে গ্রুপ এ আর বি বাদ দিয়ে বাকি সব গ্রুপে ইন্টারভিউ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবে পশ্চিমবঙ্গেও এরকম হাওয়া উচিৎ। কিন্তু এখন বাংলায় দেখবেন লিখিত পরীক্ষায় ১০ আর ভাইবায় ৪০। এই সিস্টেমে রাজ্য সরকার চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করছে। দুর্নীতি হচ্ছে। টেট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কী হল বাংলার জনগণ দেখেছে। বাংলার মানুষও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চ্যাংদোলা করে ফেলে দেবে সময় এলে।” তবে পাল্টা তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। তিনি বলেন, “মোদীর চাকরিবিলি হাস্যকর। প্রতিশ্রুতি ছিল ওনার বছরে দুই কোটি। এটা ১০ লাখে এল। মোদী আসলে ২০২৪ এর জন্য করছে। সেই দুই কোটি চাকরি কোথায় গেল? হাঙ্গার ইনডেক্স দেখেছেন। মোদী আগে বেকারত্ব ও ক্ষুধা সূচক দেখুন।”