পশ্চিম মেদিনীপুর: দিলীপ ঘোষ থেকে সৌমিত্র খাঁ, বাবুল সুপ্রিয় থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিজেপি (BJP) ত্যাগের পর তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তবে মুকুল-প্রসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন তিনি।
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। ডেবরায় সেই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে মুকুল রায়ের দলবদল প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপি কোনও ব্যক্তি নির্ভর দল নয়। সাংগঠনিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি। কেউ চলে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।”
দিন কয়েক আগেই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, তিনি বিরোধী দলের নেতা, বিধায়ক ভেঙে দেখাক ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এর অব্যবহিত পরই বিধায়ক তো বটেই, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তার পর একাধিক মুকুল-ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। আর এ নিয়ে মুকুলের বদলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন শুভেন্দু।
তাঁর কথায়, “ওনার দীর্ঘদিনের রোগ। উনি নিজের রাজত্বে কোনও বিরোধী শক্তি রাখতে চান না।” পাশাপাশি দলত্যাগী বিধায়ক ও নেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু।
একুশের ভোটে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিশানা করে নন্দীগ্রামের বিধায়কের কটাক্ষ, “স্কুলের নির্বাচন পর্যন্ত তুলে দিয়েছেন। চার বছর কলেজের ছাত্র সংসদের ভোট করেননি। ১১০টি পুরসভায় তিনবছর ধরে নির্বাচন করছেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রহসন করেছেন। ভোট লুট করেছেন। নমিনেশন করতে দেননি।” তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে তাঁর আরও মন্তব্য, “২০১২ সাল থেকে বিধায়ক ভাঙা, বিরোধী দলকে শেষ করা শুরু হয়। এর আগে সিপিএম-কংগ্রেস ছিল, এখন বিজেপি। এ রাজ্যে যেহেতু প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাই টার্গেট করেছে (তৃণমূল)।”
আরও পড়ুন: জল্পনা বাড়িয়ে কুণালের বাড়িতে হাজির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
এরপর দলবদলকারী নেতাদের প্রসঙ্গে শুভেন্দু যোগ করেন, “কে যাবে না যাবে সেটা তার ব্যাপার। দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনেই দলত্যাগ করতে হবে। এর বাইরে কোনও উপায় নেই।”