খড়গপুর: ধানের জমি থেকে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর দেহ। খড়গপুর-২ ব্লকের বাড়বাশী এলাকায় ধান জমি থেকে উদ্ধার করা হয় শান্তনু ঘোড়ুই নামে এক বিজেপি কর্মীর দেহ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করার কারণে খুন করা হয়েছে শান্তনুকে। তাঁর বাবার দাবি, বহুবার ছেলেকে হুমকি দেওয়া হতো। অভিযোগের আঙুল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দিকে। যদিও এই অভিযোগ শাসকদল উড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি তুলেছে তারা।
খড়গপুর-২ ব্লকের পরপরআড়া ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের বাড়বাশী এলাকা। সেখানে শুক্রবার ধানের জমি থেকে উদ্ধার করা হয় শান্তনুর দেহ। শান্তনুর বাবা বলেন, “বিজেপি করি বলেই ছেলেকে জীবন দিতে হল। বারবার বলা হতো বিজেপি করবে না। বিজেপি করলে মুশকিল আছে। মেরে দেওয়ার হুমকি দিত।”
পরিবারের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যা অবধি বাড়ি ফেরেননি শান্তনু। এরপর খোঁজ খবর শুরু করে বাড়ির লোকেরা। রাত হয়ে গেলেও ফেরেননি বাড়ি। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ খবর আসে মাঠে একটা দেহ পড়ে আছে। গিয়ে দেখেন শান্তনুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। বুকে, পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ছাল উঠে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তাঁদের।
যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বলছেন, পারিবারিক কোনও ঝামেলা থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। সবকিছুতেই রাজনীতির রং লাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয় বলে মত তাঁর। সঠিক তদন্ত হোক, দাবি পঞ্চায়েত সদস্যর।
ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল যে হিংসা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করল তার বদলা কিন্তু আমরা নেব। তৃণমূলকে সতর্ক করছি। এটা কিন্তু ২০১৯, ২০২১ নয়। মানুষ জন আন্দোলন করলে পালাবার পথ পাবেন না।” স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতির কথায়, “হিরণের এই হাস্যকর বক্তব্য থেকে আমার যেটা মনে হচ্ছে প্রচারে লোক পাচ্ছে না, দেবের সভায় হাজার হাজার মানুষ দেখে এসব মৃতদেহকে হাতিয়ার করছে।”