দাসপুর: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গায়ের জোরে জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে সেই জায়গায় বাড়ি নির্মাণের কাজও চলছে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের দাসপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলিয়াঘাটা এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা হরিপদ বারিকের বিরুদ্ধে। বেলিয়াঘাটা এলাকার জগন্নাথ মাইতি ও তাঁর ছেলে অনুপ মাইতির অভিযোগ, তাঁদের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে ওই এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা হরিপদ বারিক। পিছনে স্থানীয় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মনীষা নন্দিগ্রামীর স্বামী গুরুপদ নন্দিগ্রামীর মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন জগন্নাথ মাইতি ও তাঁর ছেলে। মহকুমা শাসক ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত আকারে অভিযোগও জানিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ, বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে হবে। অভিযোগ, সেসবে তোয়াক্কা না করেই চলছে বাড়ি তৈরির কাজ।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত হরিপদ বারিক। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমি আমার দখল জায়গায় বাড়ি করছি। প্রায় ৬০ বছর ধরে এই জায়গা আমার দখলে। আমার পুরনো বাড়িটা ভেঙে যাওয়ার ফলে নতুনভাবে বাড়ি তৈরি করার সময় থেকে জগন্নাথ মাইতি ও তাঁর ছেলে অনুপম মাইতি বলছে এখানে ওদের জায়গা আছে। তাহলে এতদিন বলেনি কেন? আজ ষাট বছর পর ওনাদের মনে পড়ল এখানে ওদের জায়গা আছে। আদালতে বিচার চলছে। আদালত যা রায় দেবে সেটাই হবে। তৃণমূলের বলে এটা কিছু নয়। মানুষ আমার পাশে আছে, আমার গ্রাম, আমার পাড়া আমার পাশে আছে। এখানে তৃণমূল বলে কিছু নেই। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মনীষা নন্দিগ্রামী ও তার স্বামী গুরুপদ নন্দিগ্রামীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও এই বিষয়ে দাসপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ণালী শাসমল ঘোড়ইয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওটা আদালতের বিচারাধীন ব্যাপার। সেক্ষেত্রে আদালত যে রায় দেবে সবাইকে সেটাই মানতে হবে। সবার উপরে আমাদের আইন, আইনের উপরে কেউ নেই। এ বিষয়ে দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তিনি জানান খোঁজ নিয়ে ওই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।