Saline-Death: ‘ব্ল্যাক লিস্টে’ থাকা স্যালাইন শরীরে যেতেই মৃত্যু, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

Sourav Dutta | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 10, 2025 | 1:50 PM

Saline-Death: শুক্রবারই স্বাস্থ্য দফতরের একটি টিম যাওয়ার কথা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দীকে পুরো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও কার্যত গোটা বিষয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।

Saline-Death: ব্ল্যাক লিস্টে থাকা স্যালাইন শরীরে যেতেই মৃত্যু, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
এই সেই স্যালাইন
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মেদিনীপুর: স্যালাইনেই বিপদ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। আরও চার প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, স্যালাইনেই কি লুকিয়ে ছিল বিপদ? এই ঘটনায় বৈঠকে বসতে চলেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাঠানো হচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের টিমও। এরই মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিম্নমানের স্যালাইনের জন্যই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতিদের।অধ্যক্ষের রিপোর্ট পেয়ে রাজ্যের সবক’টি হাসপাতালে অভিযুক্ত সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেখানে যেখানে এই স্যালাইন স্টকে আছে, তা ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন হল, যে স্যালাইন এই মেডিক্যাল কলেজে ব্যবহার করা হয়েছে, তা অনেক আগেই কালো তালিকায় ফেলা হয়েছিল। এই স্যালাইনের জন্যই গত বছরের নভেম্বর মাসে কর্নাটকে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। রিপোর্টে উঠে এসেছিল সেই তথ্য। তারপরও কীভাবে রমিরমিয়ে হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছে ওই স্যালাইন? প্রশ্ন উঠছে।

এই খবরটিও পড়ুন

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে গোটা ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের। শুক্রবারই স্বাস্থ্য দফতররের একটি টিম যাওয়ার কথা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দ কে পুরো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও কার্যত গোটা বিষয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।

বিশিষ্ট চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, স্যালাইন দিলেই জ্বর আসছে, কাঁপুনি দিচ্ছে, এই অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের কারও কোনও চিন্তা নেই। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “আমরা খালি চোখে দেখে বুঝতে পারি না যে স্যালাইন বিশুদ্ধ কি না। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের উচিত আরও বেশি সজাগ থাকা।”

Next Article