পিংলা: বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। সংসারের আনন্দে মেতে উঠেছিল দু’জনেই। কিন্তু, কিছু সময়ের মধ্যেই তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশই ঘেঁটে দিল সবটা। স্ত্রীর সঙ্গে পরপুরুষের প্রণয় মেনে নিতে পারেনি স্বামী। বাড়ি থেকে উদ্ধার হল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। উদ্ধার সুইসাইড নোটও। তাতে স্পষ্ট অভিযোগ, স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের কারণেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হচ্ছে তাঁকে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের কুসুমদা অঞ্চলের গোগ্রাম এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল। ৯ বছর আগে খড়্গপুরের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছু সময় সব ঠিকঠাকই ছিল বলে খবর। অভিযোগ, এরইমধ্যে বিশ্বজিতের স্ত্রী পিংলার সাঁতই এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানা মাত্রই স্ত্রীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্ত্রী ও ওই যুবকের মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা ক্রমেই বাড়তে থাকে। যা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হত বলে বিশ্বজিতের পরিবার সূত্রে খবর।
সোমবারও এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয় বলে খবর। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে চলেও যান বিশ্বজিৎ। তারপর সব খানিকটা শান্ত থাকলেও মঙ্গলবার নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বিশ্বজিতের। উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, তাঁর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্ত্রী ও প্রেমিক দায়ী। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্ত্রীর কাণ্ডকারখানা দেখেই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন বিশ্বজিৎ। ইতিমধ্যেই তাঁদের দেহ উদ্ধার করেছে পিংলা থানার পুলিশ। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনার পরেই বিশ্বজিতের পরিবারের তরফে পিংলা থানায় একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে খবর।