পশ্চিম মেদিনীপুর: ‘কাপড় খুলে চাবকানো হবে?’ আবাস যোজনার সমীক্ষার পর তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় এমনই হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে অঙ্গণওয়াড়ি কর্মীদের। এবার সেই অভিযোগ তুলে চন্দ্রকোণায় সিডিপিও ও বিডিও অফিসে স্মারকলিপি জমা দিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। আবাস যোজনার সমীক্ষার পরে চরম হুমকির মুখে অঙ্গনওয়াডি কর্মীরা এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার চন্দ্রকোণা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও ও চন্দ্রকোণা সিডিপিও অফিসে বিক্ষোভ ডেপুটেশন জমা দিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সমিতির মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ,রাজি না থাকলেও ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের জোরপূর্বক আবাস যোজনার সমীক্ষা করানো হয়েছিল।
সেই সমীক্ষার পরে আবাস যোজনায় অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাদ যাওয়ার পরেই তারা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের হুমকি গালিগালাজ শুরু করেছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সমীক্ষার কাজ করা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। তারই প্রতিবাদে চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও ও চন্দ্রকোনা সিডিপিও অফিসে সোমবার বিক্ষোভ স্মারকলিপি জমা দিল সমীক্ষার কাজ করা ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, “বিডিও ডেকে বলেছিলেন, সার্ভে করতে হবে। অঞ্চলের যে তালিকা জমা দিয়েছি, তাতে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়। আমরা সার্ভে করলাম, তিন দিনের মধ্যে তালিকাও বেরিয়ে গেল, এরপর আমাদের ওপর হয়রানি।” আরেক কর্মী বলেন, “আমি আসছিলাম, একজন শাড়ি ধরে টেনে বলল, বাড়ি না পেলে আপনাকে নিয়ে গ্রামে মিটিং করব। এখন তো আমাদেরই ভয় লাগছে।”
এ বিষয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “সাধারণ মানুষ আশাকর্মী আইসিডিএস কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও এগুলো সব তৃণমূল পার্টি অফিস থেকেই হচ্ছে। তাই বাড়ি না পাওয়া ব্যক্তিরা যদি উপযুক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন করুন।”
অন্যদিকে, এ বিষয়ে চন্দ্রকোণা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, “আবাস যোজনায় যারা আশা কর্মীদের বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, আশা কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে এটা বিজেপির চক্রান্ত করছে। এক কথায় আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যে একটা মিথ্যে অভিযোগ তুলে অস্থিরতা তৈরি করছে। এমনকি প্রশাসনকেও আমরা বলেছি বিষয়টি দেখার জন্য।” প্রশাসনিক স্তর থেকে অবশ্য এ বিষয়ে এখনই কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।