পশ্চিম মেদিনীপুর: হুড়মুড়িয়ে থানার ভিতরে ঢুকে পড়ল জনতা। গেট টপকে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। সঙ্গে তুমুল চিৎকার চেঁচামেচি। একেবারে থানার প্রশাসনিক কক্ষের ভিতর ঢুকে পড়েন। চলতে থাকে উন্মত্ত দাপাদাপি। বন্দুকধারী পুলিশ তখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে দেখছে। পুলিশই দৃশ্যত ভয় পেয়েছে। কিন্তু কেন? কারাই বা থানার ভিতর ঢুকে এইভাবে দাপাদাপি করছেন? খোঁজ নিতেই জানা গেল প্রত্যেকেই এলাকার ব্যবসায়ী। পুলিশের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। পুলিশই নাকি জুলুমবাজি করে। চন্দ্রকোণা থানায় ঘটল ব্যতিক্রমী ঘটনা।
অভিযোগ, রাস্তায় সবজি বিক্রেতার গাড়ি আটকায় পুলিশ, গাড়ি না দাঁড়ানোয় পেছনে ধাওয়া করে। গাড়ি আটকে ব্যবসায়ীকে রাস্তায় মারধরও করে পুলিশ, তেমনই অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর এরকম অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় ক্ষিপ্ত লোকজন নিয়ে থানায় ঢুকে বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দারাও সেই বিক্ষোভে সামিল হন। আর তাতেই চন্দ্রকোণা থানায় উত্তেজনা ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার পুলিশের একটি টিম আধ কাটা এলাকায় চন্দ্রকোনা-পলাশচাবড়ি রাজ্যসড়কে টহল দিচ্ছিল। সেসময় চন্দ্রকোণা থানারই মহেশপুর এলাকার এক সবজি বিক্রেতা হায়দার আলি মল্লিক সবজি বিক্রি করে তাঁর গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
অভিযোগ, ফেরার পথে ওই আধকাটা এলাকায় রাজ্যসড়কে পুলিশের টহলরত গাড়ি থামতে বললে, এবং তা বুঝতে না পেরে হায়দার গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যায়। পুলিশ তার গাড়ির পিছু পিছু ধাওয়া করে, ভয়ে গাড়ির গতিবেগ বাড়িয়ে দেয়। অভিযোগ, পুলিশ গাড়ি থামিয়ে কিছু না বলেই সবজি বিক্রেতাকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ।
বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ৫০-৬০ জন ব্যবসায়ী চন্দ্রকোণা থানার মূল গেট টপকে থানার ভিতর ঢুকে পড়ে। এরপর তাঁরা প্রশাসনিক কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করেন। তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় তুমুল উত্তেজনা। বেশ কিছুক্ষণ তুমুল বিক্ষোভ চিৎকার চেঁচামেচি চলে।
বিক্ষোভকারীদের, চেকিংয়ের নামে জুলুমবাজি চালায় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পুলিশ সামাল দেয় পরিস্থিতি। এ বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ।