পশ্চিম মেদিনীপুর: কৃষি দফতরের পরামর্শে বিকল্প চাষে লাভের মুখ দেখছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার কৃষকেরা। গতানুগতিক চাষ ছেড়ে ব্রোকোলি, রেড ক্যাবেজ, টমেটো, ফুলকপি চাষে কৃষকদের বাড়ছে আগ্রহ।
কৃষি দফতরের আতমা প্রকল্পে তেমনই একাধিক উন্নত মানের কফি থেকে শুরু করে টমেটো চাষ করে তাক লাগালো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের কৃষক। চন্দ্রকোণা কমরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস সামন্ত, ব্লক কৃষি দফতরের সহযোগিতায় আতমা প্রকল্পে আলু চাষ না করে প্রায় তিন বিঘা জমিতে ব্রোকোলি, রেড ক্যাবেজ, ও উন্নত মানের টমেটো সহ বেশ কয়েক ধরনের সবজি চাষ করে তাক লাগালেন।
ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে জৈব সার ব্যবহার করে উন্নত মানের এই কফি লাগিয়ে লাভের মুখ দেখছেন তিনি। শুধু তাই নয় ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর ব্রোকলি, রেড ক্যাবেজ-সহ এই সমস্ত কৃষিজ ফসলের চাহিদা বাজারে সব সময় থাকে, তবে এই উন্নত মানের কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে মানুষের শরীরে।
শুধু তাই নয় আগামী দিনে ব্লক প্রশাসন ব্লকের বিভিন্ন কৃষককে এই চাষে উদ্যোগী করিয়ে কৃষকদের লাভের মুখ দেখাতে চায় এমনি জানালেন চন্দ্রকোণা দুই ব্লকের কৃষি আধিকারিক শ্যাম দুলাল মাসান্তো। এলাকার কৃষকদের বিকল্প চাষে বাড়ছে আগ্রহ।
চাষিরা বলছেন, “পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। বারবার বৃষ্টিতে চাষের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। আমরা কোনওক্রমে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। কৃষি দফতরের পরামর্শে আমরা এখন অনেক নতুন চাষ করছি। আশা করি তা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া যাবে।”
এক চাষি বলেন, “আমি কৃষি দফতরের মাধ্যমে এই চাষ শুরু করেছি। এসডিও সাহেবের উদ্যোগে আতমা প্রকল্পের আওতায় চাষ করে সফল। টমটো, কপি মিলিয়ে ৩ বিঘা মতো চাষ করেছি। আমাদের বাজারেই বিক্রি হচ্ছে, চাহিদা আছে। অনেকেই এখন আমার চাষ সম্পর্কে জানতে চাইছে।”
ব্লক কৃষি আধিকারিক শ্যামদুলাল মসান্ত বলেন, “এখানে গতানুগতিক উপায়ে আগে চাষ হত। আগে থেকে হত না তা নয়। আমরা এখন গতানুগতিক চাষ ছেড়ে অন্য উপায়ে চাষ করছি। ব্রোকোলি, টমেটো চাষ করছেন। কোয়ালিটিও ভালো। মার্কেট প্রাইজ়ও ভালো।”
তিনি আরও বলেন, “করোনার জন্য এমনিতেও চাষের সমস্যা হচ্ছিল। ফলে আমরা একটু ভিন্ন উপায়ে ভাবার চেষ্টা করছি। তাতে ফলও ভালো হচ্ছে।”