ঘাটাল: দিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রম যাতে কারোর পেটে না যায়, তাই রাতে মশাল রাতে জেগে থাকত গোটা গ্রাম। রাতে এমনিতেই পাহারা দেন তাঁরা। মাঝের বেশ কিছু উপদ্রব বন্ধ থাকায় তাঁরা কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার সাত সকালে ঘুম থেকে উঠেই কৃষকদের মাথায় হাত। হাতিতে ক্ষতি করল বিঘার পর বিঘা আলু জমির। এক নিমিশে লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে গ্রামের ৩০-৪০ টা পরিবার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা দু নম্বর ব্লকের সীতানগর, ধামকুড়িয়ায়া সহ গড়বেতার পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি এলাকায়।
কৃষকদের দাবি এমনিতেই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ক্ষতির সম্মুখীন তাঁরা। তার উপরে রাত বারোটা একটা নাগাদ প্রায় কুড়ি পঁচিশটি হাতির একটি পাল গড়বেতার আমশোলর জঙ্গল থেকে প্রবেশ করে চন্দ্রকোণা সিতানগর ধামকুড়িয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়ে। রাতে বিঘার পর বিঘা আলু ক্ষেতের ওপর দিয়েই হেঁটে চলে যায় তারা। পায়ে পিষে নষ্ট হয় ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা সরকারি ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন।
এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলক ঘোষ কৃষকদের ক্ষতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দেন, কৃষকরা কীভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে সেই দিকটিও দেখবেন।
বনদফতর সূত্রে খবর, পানিকটর বীর থেকে ধামকুড়িয়া বিটে প্রবেশ করেছে ২০-২৫ টি হাতির একটি দল ক্ষতি করেছে বেশ কিছু এলাকায়। বনদফতর ক্ষতির হিসাব শুরু করেছে।