মেদিনীপুর: অবশেষে মুখে হাসি ফুটল দীপালি মাণ্ডির। ঘাটাল ব্লকের সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কুরান গ্রামের দীপালি এতদিন কোনও এক অজানা কারণে সরকারি খাতায় ‘মৃত’ ছিলেন। অবশেষে ‘নবজন্ম’ পেলেন। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হতেই হাতে পেলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ৯ মাসের বকেয়া টাকাও।
গত ১৬ জানুয়ারি দীপালি মাণ্ডির খবরটি সামনে আসে। দিব্য হেঁটে চলে বেড়ানো দীপালি কীভাবে সরকারি খাতায় মৃত হয়ে গেলেন, বুঝেই পাচ্ছিলেন না। নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে নিয়মিত কাঠখড় পুড়িয়ে চলেছেন বলেও জানিয়েছিলেন।
সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। প্রায় এক মাসের মাথায় মেটে সমস্ত জটিলতা। দীপালি বলেন, “আট মাস ধরে আমার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমস্ত খোঁজ খবর করে জানতে পারি আমি নাকি মৃত। আপনারা খবর করতেই দেখছি বকেয়া টাকা পেয়ে গিয়েছি।”
শুধু দীপালিই নন, সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজনও। সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান কৌশিক জানা বলেন, খুবই গরিব পরিবারের মহিলা দীপালিদেবী। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাটা ওনার জন্য খুবই দরকারের। কিন্তু পোর্টালে নাম না থাকায় টাকা আটকে গিয়েছিল। অবশেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আবারও সেই টাকা পাচ্ছেন তিনি।