মেদিনীপুর: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ আর সেই তেরো পার্বণের একটা অন্য উৎসব পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ে। পেটাই পরোটা উৎসবের নাম শুনেছেন কোনওদিন । হ্যাঁ, এই পেটাই পরোটা উৎসব হয় এই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে। পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর দুই জেলার প্রায় ৭-৮টি ব্লকের পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ এই পেটাই পরোটা উৎসবে অংশ নেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ৬ নং চাউলকুঁড়ি অঞ্চলের নেধুয়াতে উত্তরপল্লি হরিমন্দির উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীবৃন্দের উদ্যোগে আয়োজিত হল পেটাই পরোটা উৎসব। কথিত আছে এই হরিমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হারু বৈরাগী। এই মন্দির প্রায় ২৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো মন্দির। মহামারির হাত থেকে রক্ষা করতে ও গ্রামে গ্রামে হরিনাম সংকীর্তন প্রচার করতে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। এলাকার এক শিক্ষক তথা পেশায় শিক্ষক কানাই চাঁদ পাল জানান, হারু বৈরাগী এক বছর হঠাৎ তীর্থে চলে যান। একবছর পর ফিরে এসে নিজ হাতে মাটি দিয়ে ইট তৈরি করে সেই ইটকে পুড়িয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে আস্তে আস্তে করে এই হরিমন্দিরের পুজো হয়ে আসছে।
এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, “যেহেতু এই পুজো একাদশীতে হয় তাই এলাকার মানুষ অন্নপ্রসাদ খান না। পেটাই পরোটা উৎসবের রীতি চালু হয় বছর সাতেক আগে। সেদিন থেকেই এর নাম হয়ে আসছে পেটাই পরোটা উৎসব।”
এই মন্দির প্রাঙ্গণে শুধু সবং নয় পটাশপুর, ভগবানপুর, নারায়ণগড়, পিংলা, ময়না-সহ বেশ এলাকার দূর থেকে মানুষ ছুটে যান এবং পরোটা উৎসবে মাতেন।