হঠাৎ বীভৎস শব্দ! একেবারে নিস্তেজ হয়ে পড়ে রইল আরাধ্যা, বন্ধুর বাড়ির ছাদে কী এমন ঘটল
Electric Shock Death: অভিযোগ একাধিকবার প্রশাসনিক দফতরে জানিয়েও কোন সুহারা হয়নি। বিদ্যুতের তার সরানোর কোনও চেষ্টাই হয়নি। ঘটনার খবর যায় চন্দ্রকোনা থানায়। উপস্থিত হয় পুলিশ। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এলাকায়।
ঘাটাল: ৩৩ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিকের তারে শর্ট সার্কিট হয়ে মৃত্যু নাবালিকার। রাজ্য সড়কে টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ এলাকার মানুষজনের তুমুল উত্তেজনা
স্কুল থেকে ফিরে বন্ধুর বাড়িতে খেলতে গিয়েছিল আরাধ্যা। বন্ধুর বাড়ির ছাদে যায় সে। তারপর হঠাৎ বীভৎস শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকার বাসিন্দারা। ছুটে ছাদে গেলে দেখা যায়, নিস্তেজ অবস্থায় ছাদের ওপর পড়ে রয়েছে আরাধ্য়া। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাজার এলাকায়।
বাড়ির ছাদের কাছে ৩৩ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিকের তার ছিল। সেই কারণেই তৃতীয় শ্রেণির ওই নাবালিকা ছাত্র মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃতের নাম আরাধ্যা দলুই। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে ফিরে মিঠুন খাড়ার বাড়িতে তাঁর মেয়ে পিউ খাড়ার সঙ্গে খেলতে গিয়েছিল সে। স্কুল ছুটির পর বিকেল নাগাদ তার বান্ধবীর বাড়ির ছাদে ওঠে আরাধ্যা, বাড়ির পাশ থেকে চলে গিয়েছে ৩৩ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিক কানেকশন।
এলাকার মানুষজন আরাধ্যাকে দ্রুত চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। টোটোতে তোলার সময়েই নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিল সে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এর আগেও আরও দুজন একইভাবে ওই জায়গায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। আর সেই অভিযোগেই বৃহস্পতিবার চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেছে এলাকার মানুষ।
তাঁদের অভিযোগ একাধিকবার প্রশাসনিক দফতরে জানিয়েও কোন সুহারা হয়নি। বিদ্যুতের তার সরানোর কোনও চেষ্টাই হয়নি। ঘটনার খবর যায় চন্দ্রকোনা থানায়। উপস্থিত হয় পুলিশ। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এলাকায়। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলেও পুলিশকে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকার মানুষজন।