পশ্চিম মেদিনীপুর: উৎসবের মরশুমে জন-সংযোগ কর্মসূচি। চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে জনসংযোগ আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা শাসক দলের। ১২ দিনে ৫০০ জনসংযোগ সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। তৃণমূলের এই সভাকেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্ব-ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘শাসক দলের দুর্নীতি এখন চরমে। এদের বিসর্জনের বাজনা বেজে গিয়েছে।’
কী বললেন বিজেপি নেতা?
কখনও প্রাতঃভ্রমণ কখনও বা নিত্য নৈমিত্তিক চায়-পে চর্চায় যোগ দেন বিজেপি এই নেতা। প্রতিদিনের মত এ দিনও সেই নিয়মের বাদ গেল না। খড়গপুর শহরের বোগদা এলাকায় এসে দিলীপ বলেন, ‘আমাদের দেখে শিখছে আর কী! টিএমসির বিজয়া সম্মেলনিতে কী হয় সেটা কি আমরা জানি না? আমরা মণ্ডলে-মণ্ডলে ১ হাজার ২০০ বেশি বিজয়া সম্মেলনী করছি। শুরুও হয়ে গিয়েছে। সেটা দেখে মনে হয়েছে যে, এটা তো জনসংযোগের একটি ভাল মাধ্যম। সেটা যদি হয় আমার মনে হয় এটি একটি ভাল কাজ। সমাজের সবাইকে নিয়ে আনন্দ করা পুজোর পরে মিলিত হওয়া যে অসুরক্ষা, অসামঞ্জস্য সমাজে দেখা যাচ্ছে। সেটা যদি কোনও পার্টি করে সেটা ভাল কথা। তবে সেখানে এগুলো কাটমানির টাকায় হবে। মজ-মস্তি হবে। ডিজে বাজবে। বিজয়া সম্মেলনির আসল উদ্দেশ্য যদি পূরণ হয় তাহলে খুব ভাল কথা।
উল্লেখ্য, সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই লড়াইয়ে জিততে মরিয়া শাসক থেকে বিরোধী সকল শিবির। সেই কারণে উৎসবের মরশুমকে কাজে লাগিয়ে জন-সংযোগ নেমেছে বিজেপি-তৃণমূল দুই রাজনৈতিক দলও। বৃহস্পতিবার (আজ )নৌশাদ আলি কক্ষে বিকাল ৩টায় এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করছে গেরুয়া শিবির। দলীয় বিধায়কদের পাশাপাশি বিধানসভার সমস্ত সাংবাদিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেখানে।