পশ্চিম মেদিনীপুর: শ্যামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল (Kalipada Mondal) শনিবার আবাসের তালিকা (Awas Yojana) নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আবাসের তালিকা নিয়ে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের একাংশের মনে, সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিধায়ক দাবি করেন, “বিডিওরা যে আধিকারিকদের পাঠিয়েছেন তাঁরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এটি (আবাসের তালিকায় নাম না থাকা) করিয়েছেন। সকলে তো সমান নয়। সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলার জন্যই এটা করিয়েছে।” সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, তিনি বিডিওকে বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখতে বলেছেন। আর এই নিয়েই রবিবার কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, “আবাস যোজনা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ তুলে আসছি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও অভিযোগ করেছি। এখন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই হয়ত নেতারা মেনে নিচ্ছেন। বিডিওদের নামে চালালে তো হবে না। বিডিও চুরি করে থাকলে, বিডিওকে সাসপেন্ড করুন, শাস্তি দিন। আপনারা চাপ দিয়ে বিডিওকে করিয়েছেন। আমরা যখন বিডিও অফিস ঘেরাও করছি, তাঁরা বলছেন, আমরা কী করব!” রবিবাসরীয় সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই সময় বোগদা এলাকায় চা চক্রে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেন তিনি।
সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির দাবি, “তৃণমূলের নেতারাই এটি করিয়েছেন। যখন সার্ভে হচ্ছে, তখন নেতারা কর্মচারীদের সঙ্গে গিয়ে বাধ্য করছেন যাদের পাকা বাড়ি আছে তাদেরও নাম লিখতে। শুধু কর্মচারীদের দোষ দিলে হবে না। তৃণমূলের পলিসিতে এটি হয়েছে। দম থাকলে যে বিডিওরা গন্ডগোল করেছেন, তাঁদের সাসপেন্ড করে দেখান।”
প্রসঙ্গত, কালীপদ মণ্ডলের এই মন্তব্যের পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁরও বক্তব্য, পঞ্চায়েতের লোক ও আধিকারিক উভয় পক্ষেরই দোষ রয়েছে। কালীপদবাবুর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন, “তিনি যে কোনও কারণেই হোক স্বগোতোক্তির মতো করে প্রায় ঠিক কথাই বলেছেন।” প্রশ্ন তুলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ১৭ লাখ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তাহলে এই ১৭ লাখ নাম ঢুকিয়েছিল? কোন প্রধান, কোন বিডিও সুপারিশ করেছিলেন? তৃণমূলের কোন নেতা তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন?”