খড়্গপুর: প্রোমোটারের বাড়িতে ঢুকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কয়েক লাখ টাকা ও সোনার গহনা লুঠ করে (Loot Case in Kharagpur) পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত গোকুলপুর এলাকায়। অভিযোগ, শনিবার রাতে প্রায় সাত-আট জম দুষ্কৃতী স্বপন মুখোপাধ্যায় নামে ওই প্রোমোটারের বাড়িতে চড়াও হয়। তিনটি মোটর সাইকেলে চেপে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। বাড়ির বাইরে থেকে স্বপনবাবুর নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করে। সেই ডাকাডাকি শুনে বেরিয়ে এসেছিলেন প্রোমোটারের ছেলে। কাকে চাই জিজ্ঞেস করায় দুষ্কৃতীরা বলে, স্বপনবাবুকে ডেকে দেওয়ার জন্য। এরপর প্রোমোটারের ছেলে তাঁর বাবাকে ডাকতে বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই পিছন পিছন ওই দুষ্কৃতীরাও ঢুকে পড়ে।
বাড়িতে ঢুকেই কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিবারের লোকেদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রোমোটার ও তাঁর ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। আর তারপরই আলমারি ভেঙে যা পায়, সব লুঠ করে নিয়ে পালায়। পরিবারের দাবি, প্রায় কুড়ি ভরি সোনার গহনা ও সঙ্গে নগদ টাকা লুঠ করে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের সবার মুখে মাফলার জড়ানো ছিল, ফলে তাঁরা কাউকে চিনতে পারেননি। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় স্থানীয় থানার পুলিশ। এদিকে দুষ্কৃতীরা লুঠ করে পালানোর সময় একটি টাকার ব্যাগ ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেগুলিকে উদ্ধার করেছে। প্রোমোটার স্বপন মুখোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে কথা বলেন পুলিশকর্মীরা।
গতরাতের ওই ঘটনার পর পুলিশকর্মীরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন। গতরাতের তল্লাশিতে দু’টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, ওই মোটরসাইকেলগুলি লুঠ করতে আসা দুষ্কৃতীদের হতে পারে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারা এই লুঠের সঙ্গে যুক্ত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।