দাসপুর: সংসারে তেমন কোনও অশান্তি ছিল না। এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। প্রতিবেশীরা অন্তত তেমনটাই জানিয়েছেন। তবুও নির্ঝাঞ্চাট মানুষটিকে এই অবস্থায় দেখতে হবে হয়ত ভাবেননি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা। সেখানেই বসবাস করত পাত্র পরিবার। ঘনস্যামবাটি সায়দাতীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা স্কুলে ইংরেজির অতিথি শিক্ষক (পার্ট টাইমার) ছিলেন বিশ্বজিৎ পাত্র। তাঁর স্ত্রী-ও ওই একই স্কুলের অতিথি শিক্ষক। জানা গিয়েছে, মাদ্রাসা স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তাঁরা টিউশনও পড়াতেন।
শনিবার সকালে অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেনি বিশ্বজিৎবাবু। তখনই সন্দেহ হয় তাদের। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দেখেন ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন বিশ্বজিৎ। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
এই ঘটনার খবর যায় দাসপুর থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই ইংরেজি শিক্ষক। অপরদিকে, পার্শ্ববর্তী মানুষদের দাবি পারিবারিক কোনও গণ্ডগোল ছিল না। কিন্তু কী কারণে এমন ঘটনা ঘটাল তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করেছে দাসপুর থানার পুলিশ।