পশ্চিম মেদিনীপুর: পুজোর আগেই বন্যায় ডুবেছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ছবিটাও একই। আর ঘাটালের অবস্থা তো প্রতি বছরের মতোই। যে দিকে তাকানো যায়, সেদিকেই জল। এমনকী শ্মশান পর্যন্ত জলের তলায়। মৃতদেহ নিয়ে কার্যত খুঁজতে হচ্ছে শ্মশান। কোথায় শুকনো জায়গা আছে, কোথায় দাহ করা হবে, তা খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
ঘাটালের বানভাসি এলাকার মানুষের চরম দুর্দশার ছবি ধরা পড়ল বুধবার। ঘাটাল পুরসভা ১০ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ গড় প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দার প্রতিমা চৌধুরী (৫৫)-র মৃত্যু হয়েছে এদিন। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে দাহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা। মৃতদেহ দাহ করবেন কোথায়, ভেবে না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ খোঁজখবর করেন তাঁরা, কারণ এলাকার শ্মশানও ডুবে রয়েছে জলে। শেষ পর্যন্ত মৃতদেহ নৌকোয় করে নিয়ে যাওয়া হয় অপেক্ষাকৃত উঁচু একটি জায়গায়। সেখানেই দাহ করার ব্যবস্থা হয়।
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিনই জেলা সফর করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার হাওড়া-হুগলির একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। হুগলির পুরশুড়ার পরিস্থিতিতে দেখে ফের একবার ম্যান মেড বন্যার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, পরিকল্পনা করে বাংলাকে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।