ঘাটাল : নামের পাশে লেখা ‘লেট’ অর্থাৎ প্রয়াত। আর ঠিক দু লাইন পরেই সেই ব্যক্তির জীবনের সাফল্য কামনা করা হল শংসাপত্রে। ঘাটাল পুরসভার দেওয়া সেই শংসাপত্রের ছবি ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। আদতে জলজ্যান্ত ব্যক্তিকেই মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যাঁর নামের পাশে ‘লেট’ লেখা হয়েছে, তিনি এমন শংসাপত্রে রীতিমতো অবাক। ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যানের যোগ্যতা নিয়ে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। পুরসভাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। কিছুদিন আগেই ডেথ সার্টিফিকেটে ‘মৃত্যুর উন্নতি সাফল্য কামনা’ করা হয়েছিল মেদিনীপুরে। পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া সেই শংসাপত্র নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। আর এবার প্রশ্নের মুখে পুরসভা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শংসাপত্র ভাইরাল হতেই চেয়ারম্যানের যোগ্যতা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। ঘাটালের কোন্নগরের বাসিন্দা শেখ মইদুল ইসলাম এক ব্যক্তি পুরসভায় গিয়েছিলেন একটি শংসাপত্র নিতে। শংসাপত্র পাওয়ার পর তিনি দেখেন তাঁর নামের পাশে ‘লেট’ লেখা রয়েছে। তিনি ঘাটালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুশপাতা গ্রামের বাসিন্দা। প্রধানের প্যাডে সিল ও সই করা শংসাপত্রে এমন ভুল দেখে তাজ্জব তিনি। মইদুল ইসলাম বলেন, ‘একটি মসজিদে মোয়াজ্জেমের জন্য পুরসভার সার্টিফিকেট নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়। আমি জীবিতই আছি।’
এই ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা। তিনি বলেন, ‘ভুলবশত এটা হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের ভুল আর হবে না।’ পুরসভার এমন সার্টিফিকেট প্রদানকে ঘিরে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।
এবিষয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘পুরসভার যে কর্মী ওই সার্টিফিকেটটি টাইপ করেছেন তাঁর যোগ্যতা কত? তিনি কত টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন?’ ওই কর্মীর নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক। পাশাপাশি পুরসভার চেয়ারম্যানকেও তিনি কটাক্ষ করেছেন। এই ঘটনায় শুধু ঘাটাল নয়, রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
কিছুদিন আগে মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া একটি ডেথ সার্টিফিকেট ঘিরেও উঠেছিল প্রশ্ন। তাতে সই ছিল খোদ প্রধানের। তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।