ঘাটাল: তৃণমূল কাউন্সিলর পেশায় শিক্ষক, রয়েছে দোতলা পাকা বাড়ি। তবুও কাউন্সিলরের স্ত্রী পেলেন হাউস ফর অল-এর বাড়ি, ঘটনায় শোরগোল। আর পৌরবাসীদের অভিযোগ, বারে বারে পৌরসভায় জানিয়েও মেলেনি সরকারি বাড়ি। ভাঙাচোরা মাটির বাড়িতে- কেউ বা ত্রিপল টাঙিয়ে করছে বসবাস। কারও আবার অভিযোগ, এলাকার নেতাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে না পারায় মেলেনি বাড়ি। এক পৌরবাসী বলেই দিলেন, ‘হাউজ় ফর অল’-এর বাড়ির সকলেই পেয়েছে। যাদের রয়েছে একাধিক বড় বড় পাকার বাড়ি তারাও পেয়েছে সরকারি বাড়ি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পৌরসভার এমনই ঘটনা।
রামজীবনপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভু দাস, পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক, শম্ভু দাসের রয়েছে একটি বিশাল দোতলা পাকার বাড়ি, তবুও শম্ভু দাসের স্ত্রী মনীষা দাস পেয়েছে হাউস ফর অল-এর বাড়ি। ইতিমধ্যে সে বাড়ির কাজও শুরু হয়েছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। প্রশ্ন উঠছে পৌর এলাকায় এখনো বহু, গৃহহীন মানুষ রয়েছেন যারা ভাঙাচোরা মাটির বাড়িতেই বসবাস করছেন,তাদের এখনও বাড়ি মেলেনি, আর তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মিলল বাড়ি।
ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, যারা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তারা বাড়ি পাইনি। বাড়ি পাচ্ছে শুধু তৃণমূলের নেতারাই। এমনকি বহু আগে সরকারি বাড়ি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পৌরসভা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে জানিয়েছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে বিজেপির অভিযোগ।
তবে যাই হোক সরকারি এই বাড়ি পৌর এলাকার বহু বাসিন্দা এখনও পায়নি , তবে এই নিয়ে তৃণমূল নেতাদেরই বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন পৌরবাসী ।তবে সাফাই দিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণ তেওয়ারি। উপযুক্ত উপভোক্তাকে বাড়ি দেওয়ার জন্য রাজ্য জুড়ে চলছে আবাস যোজনা সার্ভে। তৃণমূল কাউন্সিলরের ঝাঁ চকচকে পাকার বাড়ি থাকা সত্ত্বেও, এই ঘটনায় শোরগোল।