চন্দ্রকোনা: এই অকাল বৃষ্টিতে যে কৃষকরা মাথায় হাত দিয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখেন না। অতি গভীর নিম্নচাপের প্রভাব বাংলায় না পড়লেও তিন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরও। আর এর ফলেই কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কৃষকরা।
সকাল থেকেই সকাল থেকেই তড়িঘড়ি কৃষকরা মাঠ থেকে পাকা ধান তুলে খামারে মজুত করতে ব্যস্ত। কেউ বা আবার তড়িঘড়ি, আলু লাগাতে ব্যস্ত। কৃষকদের দাবি, মাঠে রয়েছে পাকা ধান, সেই ধান যদি বৃষ্টির জলে ভেজে, তাহলে চরম ক্ষতি হয়ে যাবে। শুধু ধান নয়, বৃষ্টি হলে পিছিয়ে যাবে আলুর চাষ। ফলত, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় চরম বিপাকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর, গড়বেতা সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। এক কথায় সকাল থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মাথায় নিয়ে চরম ব্যস্ততা কৃষকদের মধ্যে।
মধুসূদন মাইতি বলেন, “ধান পেকে গিয়েছে। কাটার মতো পরিস্থিতি নেই। আর কাচা ধানের দাম অনেক কম। বাজারের অবস্থা খারাপ। অন্যদিকে, আলুচাষ বৃষ্টির জন্য আরও পিছবে। খুব সমস্যা।” তাপস হাজরা বলেন, “তাড়াতাড়ি ধান কাটছি। বৃষ্টি হলেই ধান পচবে। ধান অনেক কাচা। পচে যাওয়ার থেকে তুলে নেওয়া ভাল।
”