Kharagpur Crime: সংসার ছেড়ে জঙ্গলে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘর বেঁধেছিলেন, প্রেমিকের নোংরা নিদর্শন জঙ্গলেই ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা

Kharagpur Crime: স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, তরুণের কথাতেই সেভাবে কোনও সঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়নি। এরপরই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Kharagpur Crime: সংসার ছেড়ে জঙ্গলে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘর বেঁধেছিলেন, প্রেমিকের নোংরা নিদর্শন জঙ্গলেই ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা
প্রেমিকার দেহ মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 4:30 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: দু’জই সংসারী ছিলেন। কিন্তু প্রেমের টানে ওঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে সংসার পেতেছিলেন। এলাকা থেকে বেরিয়ে ঘর বানিয়েছিলেন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। জঙ্গলের ভিতরেই মাটি খুঁড়ে সেই প্রেমিকারই দেহ পুঁতে ফেলার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুরের ভালুকমচা গ্রামে। মাটি খুঁড়ে সেই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই মহিলার নাম পবিত্রা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে খড়্গপুর গ্রামীণের ভালুকমচা গ্রামের বাসিন্দা তরুণ সিংয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পবিত্রা। পরিবারের তরফে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাঁরা বাড়ি ছেড়েছিলেন। এলাকা থেকে কিছুটা দূরে একটি জনবহুল এলাকায় জঙ্গলের ধার ঘেঁষে একটি ঝুপড়ি বাড়ি বানিয়ে তাঁরা থাকতে শুরু করেন। বেশ কিছুদিন তাঁরা সংসারও করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, আচমকাই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান পবিত্রা। তাঁকে রোজই কাজেকর্মে যেতে দেখে যেত। কিন্তু চার-পাঁচ দিন ধরে তাঁকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা তরুণ সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, তরুণের কথাতেই সেভাবে কোনও সঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়নি। এরপরই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়েছিল মাটি খুঁড়েই পুঁতে দেওয়া হয়েছিল দেহ। পুলিশ গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান। মঙ্গলবারই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটির নীচ থেকে দেহ তোলা হবে জানা গিয়েছে।

এরপর পুলিশ প্রেমিক তরুণ সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। পুলিশের জানিয়েছে, তরুণের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। তবে তরুণ দাবি করছেন, তিনি পবিত্রাকে খুন করেননি। তবে মৃত্যুর পর দেহ মাটিতে তিনিই যে পুঁতেছিলেন, সেটা পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছেন। তবে পবিত্রার মৃত্যু কীভাবে হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে  দেহ মাটি খুঁড়ে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। গ্রামাসীদের দাবি, উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।