খড়গপুর: পারিবারিক অশান্তি চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তার পরিণতি এমন হবে কে ভেবেছিল। আচমকাই নিজের স্ত্রী ও ছেলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মেদিনীপুরের ঘটনা। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের শিল্পগ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত উপাধ্যায় ও পম্পা উপাধ্যায়ের মধ্যে পারিবারিক গোলমাল চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অভিযোগ, সেই গোলমালের জেরে রঞ্জিত উপাধ্যায় ছুরি নিয়ে হামলা চালায় তাঁর স্ত্রী পম্পা উপাধ্যায় ও ছেলে জিৎ উপাধ্যায়ের উপর। প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে দু’জনকেই।
রঞ্জিতের ছেলের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বাবা মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে ঝামেলা পাকায়। তাঁদের মায়ের সঙ্গে অশান্তি করে। স্ত্রী পম্পার উপর অত্যাচার চালায়। জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যাতেও একই ঘটনা ঘটে। অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। স্ত্রীকে মারধর করেন রঞ্জিত। তখনই ছেলে জিৎ উপাধ্যায় বাধা দেয়।
অভিযোগ, এরপরই ছেলে ও স্ত্রীর উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় রঞ্জিত উপাধ্যায় । আহত অবস্থায় ছেলে জিত ও পম্পাকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে আহত মহিলার মেয়ে বলেন, “সামনের বছর মাধ্যমিক দেব। অথচ বাড়ির অসান্তির জন্য পড়াশোনা করতে পারছি না। কালকে বারবার মাকে বাবা বলছিল তুই কোনও ফ্যাসলা করলি না। এরপরই ছুরি চালিয়ে দেয়। বাধা দিতে গেলে দাদাকেও ছুরির আঘাত করে।”