মেদিনীপুর: মধ্যরাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! বেপরোয়া অডির ধাক্কায় মৃত্যু হল একপুলিশ কর্মী-সহ তিনজনের। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মধ্য রাতে দিঘা-খড়্গপুর, ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে খড়্গপুর গ্রামীণের বেনাপুর রেলগেটের কাছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর রামানন্দ দে(৪৫) রয়েছেন। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার তালডাংড়ায়। তাছাড়াও জাহাঙ্গির শেখ নামে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। পেশায় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির ওই গাড়ির সওয়ারি ছিলেন। তাঁর বাড়ি খড়্গপুর শহরের পাঁচবেড়িয়ায়। পরে মেদিনীপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় অভিষেক শ্রীবাস্তব নামে এক ব্যক্তির। তিনি ওই গাড়ির যাত্রী ছিলেন।
ওই গাড়ির অপর যাত্রী সুজিত রায়, ঝাপেটাপুরের প্রদীপ দাস ও পুরাতন বাজারের চন্দনকুমার দাস গুরুতর জখম হয়েছেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে বেনাপুর রেলগেটের কাছে টহলরত পুলিশের ভ্যান থেকে নেমে ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে দাঁড়িয়ে ছিলেন কর্তব্যরত রামানন্দ দে৷ গাড়িতে ছিলেন অন্য পুলিশকর্মীরা। সেই সময় খড়্গপুর অভিমুখে থাকা একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই পুলিশ আধিকারিককে ধাক্কা মারে। ছিটকে যান রামানন্দ। এর পরেই গাড়িটি রেলগেটের সিগন্যাল পোস্টে ধাক্কা মেরে বাঁ-দিকে থাকা একটি ঝুপড়ি চা-দোকানে ঢুকে যায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে আহতদের বার করতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় একে-একে গাড়ি থেকে পাঁচ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই রামানন্দ ও জাহাঙ্গিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে মৃত্যু হয় অভিষেকের।
জানা গিয়েছে, মকরামপুরের একটি ধাবায় খাওয়াদাওয়া করে গাড়িতে ফিরছিলেন জাহাঙ্গির ও তাঁর সঙ্গীরা। মৃতদেহগুলি আপাতত খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।