Medinipur: গায়ের জোরে বন্ধ করা হয় নির্মাণ, তৃণমূলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরির’ অভিযোগ
Medinipur: পার্থসারথীর বক্তব্য, বিনা নোটিসে কাউন্সিলর গিয়ে রীতিমতো হুমকি দেন এবং তাঁর ভাই সিদ্ধার্থ নাগের ওপর চড়াও হয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার আকস্মিকতায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদাগিরি! পৌরসভার ড্রেনের পাশে নিয়ম মেনে জায়গা না ছেড়ে টিনের সেড করছে এক ব্যক্তি তা বন্ধ করতে গিয়ে রীতিমতো চড়াও হয়ে ওই ব্যক্তিকে মারধর ও হুমকির অভিযোগ উঠল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সেই মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল চন্দ্রকোণায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড গোবিন্দপুরের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় নিজের জায়গায় নার্সিংহোম তৈরির জন্য ভবন নির্মাণ করেছেন পার্থসারথী নাগ নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, নিজের রায়ত জায়গার উপর বাড়ি তৈরি হয়েছে, বাড়ির সামনে থাকা তার জায়গায় টিনের শেড তৈরি করছেন। আর এই শেড করাকে ঘিরেই যত গন্ডগোল। ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিজিৎ রায়। অভিযোগ, তিনি আগেও একদিন এসে শেড তৈরির কাজ বন্ধ রেখে দেখা করার কথা বলে গিয়েছিলেন। সরকারি ড্রেনের ধারে জায়গা না ছেড়ে শেড কেন করা হচ্ছে, এনিয়ে ওই কাউন্সিলর গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ।
পার্থসারথীর বক্তব্য, বিনা নোটিসে কাউন্সিলর গিয়ে রীতিমতো হুমকি দেন এবং তাঁর ভাই সিদ্ধার্থ নাগের ওপর চড়াও হয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার আকস্মিকতায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে। জায়গার মালিক পার্থসারথী নাগ ও তার ভাই সিদ্ধার্থ নাগের দাবি, “কাউন্সিলর অনৈতিক দাবি করেছিলেন, তা না মানায় ক্ষুব্ধ হয়ে গায়ের জোরে কাজ বন্ধ করতে গিয়েছিলেন। পৌরসভার যে ড্রেনটি করা হয়েছে, তা আমাদেরই জায়গায় আমরা কোনও আপত্তি করিনি এবং যে টিনের শেডটি করা হচ্ছে, সেটা ড্রেন দখল বা বুজিয়ে নয়।”
চন্দ্রকোণা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিজিৎ রায় চন্দ্রকোনা শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদেও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শাসকদলের কাউন্সিলর ও যুব সভাপতির পদে থেকে এহেন আচরণের ভিডিয়ো প্রকাশ্য আসতেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। যদিও এবিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর অভিজিৎ রায় জানিয়েছেন, “এলাকার মানুষের থেকে খবর পেয়ে আমি গিয়ে তাঁকে বলেছিলাম, বেআইনি কাজ হচ্ছে। পৌরসভার ইঞ্জিনিয়রের সঙ্গে কথা বলে নিয়ম মোতাবেক কাজটা করতে বলেছিলাম। কিন্তু শুনি ওই ব্যক্তি গায়ের জোরে ড্রেন দখল করে টিন দিয়ে শেডের কাজ করছে।” তবে পৌরসভার চেয়ারম্যানের বক্তব্য, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।