Medinipur: ‘প্রায় রোজই ছেলে এরকম করত, এতদিন লজ্জার কথা কাউকে বলিনি’, শেষমেশ প্রতিবেশীরা বাঁচান, ছেলের কুকীর্তি বলতে গিয়ে ডুকরে কাঁদলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্ত্রী

Ashim Bera | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 04, 2024 | 1:00 PM

Medinipur: সাতসকালে প্রতিবেশীরা বৃদ্ধাকে ছেলের বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে গেলে শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অতঃপর শ্রীঘরে ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড ভেরবাজার এলাকায়।

Medinipur: প্রায় রোজই ছেলে এরকম করত, এতদিন লজ্জার কথা কাউকে বলিনি, শেষমেশ প্রতিবেশীরা বাঁচান, ছেলের কুকীর্তি বলতে গিয়ে ডুকরে কাঁদলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্ত্রী
নিগৃহীতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মেদিনীপুর: স্বামী শিক্ষকতা করতেন। এখন অবসরপ্রাপ্ত। একটাই ছেলে। নিজেরাই দেখে বউমা নিয়ে এসেছিলেন। যা জমি জায়গা সম্পত্তি রয়েছে, সবই লিখে দিয়েছেন ছেলের নামে। ছেলে আবার কিডনিরও সমস্যা রয়েছে। জমানো পুঁজিতে কলকাতা থেকে চিকিৎসাও করিয়ে এনেছিলেন বাবা-মা। সেই ছেলে বৌমার অত্যাচারে এখন অতিষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দম্পতি। বাড়ির বাইরেই রাত কাটল বৃদ্ধা মায়ের। সাতসকালে প্রতিবেশীরা বৃদ্ধাকে ছেলের বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে গেলে শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অতঃপর শ্রীঘরে ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড ভেরবাজার এলাকায়।

এলাকার বাসিন্দা যমুনা বারিক ও তাঁর স্বামী নকুলচন্দ্র বারিক। দু’জনেরই বয়স আশির কোঠায়। তাঁদের একমাত্র ছেলে কাশীনাথ ও বউমা রুমা। অভিযোগ, প্রতিনিয়ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধার ওপর অত্যাচার করেন তাঁরা। ছেলে কাশীনাথ মাকে মারধর করেন, বউমা পাশ থেকে উস্কানি দেন বলে অভিযোগ। বাড়ির মধ্যেই চুপ করে থাকতেন বৃদ্ধা। প্রতিবেশীদের কিছু জানাতে ভয় পেতেন। কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা ছাড়ায় সোমবার। সোমবার দিনভর ধরে চলে অত্যাচার। রাতে বাড়ির বাইরে এসে বসেন বৃদ্ধা। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধাকে যখন বাড়ি ফেরাতে যান প্রতিবেশীরা, তখন আরও মারাত্মক আকার ধারন করে পরিস্থিতি। প্রতিবেশীদের সঙ্গেই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন ছেলে-বউমা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের সামনেই চলে তর্কাতর্কি। বৃদ্ধা বলেন, “যা জমি জায়গা ছিল, সবই রেজিস্ট্রি করে ছেলেকে দিয়ে দিয়েছি। শেষ যেটুকু টাকা ছিল, কলকাতা থেকে ওর চিকিৎসা করিয়ে আনলাম। এখন আমরাই ওদের কাছে বোঝা হয়ে গিয়েছি। কোনও দিনই কারোর কাছে কিছু বলিনি।”

চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ কাশীনাথকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে।প্রতিবেশীর কথায়, “রোজ মারত, আমরা বাইরে থেকে চিৎকার শুনতাম। বউমা তো মারাত্মক। ওর যা রুদ্র মূর্তি দেখলাম। আমাদের সামনেই যা করছিল… বাপ রে বাপ।”

Next Article