মেদিনীপুর: ব্যাঙ্কের ক্যাশ কাউন্টারে টাকা তোলার পর ব্যাগে রেখে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। চোখের নিমেশে তিন লক্ষ টাকা সমেত ব্যাগ হাতিয়ে চলে গেলেন দুষ্কৃতী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে। খবর পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ব্যাগ কে নিয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। সিসিটিভিতে গোটা বিষয়টি ধরা পড়েছে বলে জানান ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দাসপুরের বড়শিমুলিয়ায় থাকা এই ব্যাঙ্কেরই সিএসপি অর্থাৎ কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের টাকা তুলতে গিয়েছিলেন স্বর্ণলতা মাইতি নামে ওই গৃহবধূ। ব্যাঙ্কের ক্যাশ কাউন্টার থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা তুলে তাঁর ব্যাগে রাখেন। স্বর্ণলতা মাইতির বয়ান অনুযায়ী, অন্যান্য বারের মতোই এদিনও ব্যাঙ্কের ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা তুলে তা ব্যাগের মধ্যে রেখে অন্য অফিসিয়াল কাজে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন।
আর সেই সুযোগে নিমেশেই ব্যাগ সমেত টাকা গায়েব হয়ে যায় বলে দাবি তাঁর। তা বুঝতে পেরে ঘটনার কথা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান স্বর্ণলতা মাইতি। ওই ব্যাগে তাঁর একটি মোবাইলও ছিল বলে জানান তিনি। দিনে দুপুরে ভিড়ে টাসা ব্যাঙ্কের ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা তোলার পর এভাবে টাকা সমেত ব্যাগ গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
ঘটনার খবর দেওয়া হয় দাসপুর থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে ছুটে যায় দাসপুর থানার ওসি-সহ পুলিশ। পরে হাজির হন ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এবিষয়ে ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার রাজু মন্ডল বলেন, “তিন দিন পর ব্র্যাঞ্চ খুলেছে স্বাভাবিক ভাবেই ভিড় ছিল। ঘটনার খবর পুলিশকে দেওয়া হয়। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ ওই মহিলার ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে। কেন এত টাকা ভর্তি ব্যাগ আগলে না রেখে, বেঞ্চে রেখে অন্যমনস্ক হলেন মহিলা। সাধারণত তো তেমনটা হয় না। সেক্ষেত্রে মহিলার সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।